নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
মাদক, সন্ত্রাস ও চাদাবাজি রোধে পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে সাধারন মানুষের কাছে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও সাংসদ একেএম শামীম ওসমান।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের পক্ষে প্রচারনা শেষে গণমাধ্যমকে একথা জানান শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে মানুষ ক্ষমতায় এনেছে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। আমরা প্রমান করে দিতে চাই, বর্তমান সরকার জনগনের বন্ধু হয়েই পাশে থাকবে। অচিরেই আমি আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশ সুপারকে সাথে নিয়ে এব্যাপারে সমাবেশ করবো।
শামীম ওসমান এমপি বলেন, বর্তমান সমাজে মাদক একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যধি হয়ে দাড়িঁয়েছে। বর্তমান সরকারের এত উন্নয়ন এত কাজ সবই ভেস্তে যাবে যদি আমরা আগামী প্রজন্ম যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থকে রক্ষা করতে না পারি। মাদক যারা বিক্রি করে তারা ইবলিশ শয়তানের সমতূল্য,তারা দেশ ওসমাজের সবচেয়ে বড় শত্রু। নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মাদক ও সন্ত্রাসের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ভুমিকা নিয়েছেন। তাদেরকে সাথে নিয়েই আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ করবো। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এই যুদ্ধ শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসনের একার পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব হবে না যতক্ষন না পর্যন্ত সাধারন মানুষ জেগে উঠবেন। শামীম ওসমান আরো বলেন, শুধু মাদকই নয়, সন্ত্রাস, চাদাবাজি ওইভ টিজিং এর বিরুদ্ধেও আমাদের জেগে উঠতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টি হলেই এসব অপরাধী ও সমাজের শত্রুদের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষ প্রতিরোধ হয়ে এগিয়ে আসবেন বলে আমি আশা রাখি।
এর আগে শামীম ওসমান সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সহ সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমাদের শ্লোগান হওয়া উচিত, “চেঞ্জ দ্যা ইমেজ, চেঞ্জ দ্যা নারায়ণগঞ্জ”। আমরা নারায়ণগঞ্জের ইমেজটা চেঞ্জ করতে চাই। আমি সবাইকে নিয়ে বসবো। আমি আগামীতে নির্বাচন নাও করতে পারি এবং ওপেন ডিক্লেয়ার দিচ্ছি নির্বাচন করবো না। আমি গতানুতিক রাজনীতি করতে আসিনি। আমার কাছে এমপি হওয়া বড় কথা না। বড় কথা হচ্ছে আমি নারায়ণগঞ্জের মোড় ঘুরিয়ে দিতে চাই। যাতে মৃত্যুর পর সবাই স্মরণ করে। যেহেতু আমার আগামীবার নির্বাচন করার কোন টার্গেট নাই যেহেতু আমি সবাইকে কাজ করতে চাই। কেউ যাতে এখানে এসে ছড়ি ঘুরাতে না পারে। যদি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক এবং আইনজীবীরা এক থাকে তবে ছুরি ঘুরানো যে কারও পক্ষে সম্ভব হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড.হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়া, সাবেক সভাপতি এড. আব্দুর রশিদ ভূইয়া, এড. আনিসুর রহমান দিপু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল,সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ।