নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে বিশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার নেতারা। সোমবার (৭ সেপ্টম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি কবীর হোসেন সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আমির আতিকুল ইসলাম নান্নু মুন্সি, খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ অন্যান্য নেতারা।
খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি কবীর হোসেন বলেন, আজকে আমরা খুব কষ্ট বুকে নিয়ে রাজপথে উপস্থিত হয়েছি। আপনারা জানেন তিতাস গ্যাস কোম্পানীর দূর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার কারণে আজকে তল্লায় মসজিদের মধ্যে এতোগুলি মানুষ নামাজরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলো। আমরা জানতে পেরেছি যে, যেই মসজিতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেই মসজিদের সামনে এবং মাটির নিচ দিয়ে যেই গ্যাসের লাইন গিয়েছিলো সেটির মধ্যে লিকেজের সমস্যা ছিলো। তাই মসজিদের কমিটির লোকজন একবার নয়, কয়েকবার তিতাসের কর্মকর্তাদের বলেছিলো বিষয়টি দেখে ঠিক করে দেওয়ার জন্য। তবে তিতাসের কর্মকর্তা সেটি ঠিক করার জন্য টাকা চেয়েছে! তাই দেখুন আজকে কতোগুলি নিরহ মানুষকে জীবন দিতে হলো। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আগুনে দগ্ধ হয়ে যারা মারা গেছেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা আমাদের নৈতীক দায়ীত্ব। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি প্রত্যেকের পরিবারকে যাবে বিশ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়।
খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার আমির আতিকুল ইসলাম নান্নু মুন্সি বলেন, আজকে তল্লার সেই মসজিদের বিস্ফোরণে যারা যারা নিহত হয়েছে তাদের স্ত্রী এবং সন্তানরা এক প্রকার দিশেহারাই হয়ে গেছে। আমরা শুনেছি একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তিও সেখানে নিহত হয়েছে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যারা আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভবিস্যতের কথা চিন্তা করে হলেও যাতে বিশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আর যারা আহত হয়েছে তাদেও যাতে ভালো অংকের একটি ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। কেননা সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাসের অব্যবস্থাপনার কারনেই তল্লা জামে মসজিদের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।