নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জে ডিমের দামে আবারও নতুন রেকর্ড। প্রতি ডজনে ডজনে দাম উঠেছে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। যা সপ্তাহখানেক আগেও ছিল একশ ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকা। হঠাৎ ডজনে বিশ থেকে ত্রিশ টাকা বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
দাম বাড়ার জন্য গুটিকয়েক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিমের দামে মাছ বা মাংস কোনোটাই কেনা সম্ভব নয়। তাই স্বল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে একমাত্র ভরসা ডিম। কিন্তু এখন তাও প্রায় নাগালের বাইরে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে প্রতিটি ডিমের দাম বেড়েছে দুই টাকারও বেশি।
খুচরা বিক্রতারা বলছেন, তিনদিন আগেও ডিমের ডজন ছিল একশ ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে একশ পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্ন টাকা। বাজার ভেদে একশ ষাট টাকাও বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে।
ডিমের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ার জন্য কয়েকটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করলেন পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার। তার মতে, খুচরা বাজারে নয় অভিযান চালাতে হবে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে বছরে ডিম উৎপাদন হচ্ছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি পিস। এতো উৎপাদনের পরও দাম নিয়ে কারসাজি কমাতে মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য থামানোর দাবি সবার।