নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যা মামলায় তার বন্ধু পিন্টু দেবনাথকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া তার দোকানের কর্মচারী বাপেন ভৌমিককে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড সে সঙ্গে আরো ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অর্থদন্ডের টাকা আদায় করে নিহতের পরিবারকে দিতে করতে আদেশ দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী পিন্টু দেবনাথ কুমিল্লার মেঘনা থানার চন্দনপুর গ্রামের সতীশ দেবনাথের ছেলে বর্তমানে আমলাপাড়া কেসি নাগ রোডের ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। কারাদন্ডপ্রাপ্ত বাপন ভৌমিক ওরফে বাবু কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার ঠেটালিয়া গ্রামের কুমদ ভৌমিকের ছেলে।
এ মামলায় খালাস পেয়েছেন আমলাপাড়া কেবি সাহা রোডের মৃত হাজী মহসিন মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন মোল্লা। চার্জশিটে তাকে প্ররোচনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, মামলাটি বেশ স্পর্শকাতর ছিল। সে কারণেই দ্রুত মামলাটি শেষ করা হয়েছে।
মামলার বাদী নিহতের ভাই বিদ্যুৎ সাহা রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যার ফাঁসির আদেশ হয়েছে সেটা দ্রুত কার্যকর চাই। তবে আমরা বাপেন ভৌমিকের যাবজ্জীবন ও মামুনের সাত বছর কারাদন্ড প্রত্যাশা করেছিলাম।
এখানে এক আসামিকে খালাস দেয়ায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আমার ভাই হত্যার বিচার হলে ও দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পেলেই আমাদের পরিবার শান্তি পাবে।
এর আগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে বহুল আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যা মামলার ২০৩ পাতার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করা হয়। চার্জশীটে প্রবীর ঘোষ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পিন্টু দেবনাথ, আবদুল্লাহ আল মামুন ও বাপেন ভৌমিককেও অভিযুক্ত করা হয়।
এ মামলায় মামলায় ৩০ জন সাক্ষী থাকলেও ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। পরে গত ৯ জুলাই সড়কে শহরের কালীরবাজার এলাকা থেকে পিন্টু দেবনাথ ও বাপানে ভৌমিক বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্য মতে রাতেই শহরের আমলাপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীর ঘোষের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।