কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান, ইউজিসির সদস্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ক ভর্তি কমিটি ২০১৯-২০২০ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, চট্টগ্রাম ভেটেরেনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার দুই পরীক্ষার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণীতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে মোট আসন সংখ্যার ১০ (দশ) গুণক প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা শীর্ষক বিধান কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
‘কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণীর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি’ শীর্ষক বিজ্ঞপ্তির ২ এর খ কলামে বলা হয়, আবেদনকারীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে মোট আসন সংখ্যার ১০ (দশ) গুণক প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হবে। ওই কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ভর্তি পরীক্ষার্থী মুশফিকা আফরিন তৃষা ও তানভীর আনজুম আলভী হাইকোর্টে রিট করেন।
পরে তাদের আইনজীবী ফয়জুল্লাহ ফয়েজ জানান, ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৭৪ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তির ২ এর খ কলামে মোট আসন সংখ্যার ১০ গুণকের কথা বলায় অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবে। এ কারণে দুইজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন বলে জানান তিনি।