উন্নয়ন মেলা ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত করেছি। এবার লক্ষ্য দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। দেশের প্রতিটি পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাত দিনব্যাপী পিকেএসএফ উন্নয়ন মেলা- ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘আমার বাড়ি আমার খামার’সহ বেশকিছু কর্মসূচির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের গৃহীত এসব কর্মসূচির ফলে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ২১ ভাগে নেমে এসেছে। আগামীতে এটাকে ১৬ ভাগে নামিয়ে আনতে চাই।’
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহদ রচিত ‘এসো সাম্যের গান গাই’ জাগরণের গান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন উদ্দিন আবদুল্লাহ। কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় বেগম মতিয়া চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছি। যারা গৃহহারা তাদেরকে ঘর করে দিয়েছি এবং এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মানুষ যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাড়ি আমার খামার’-এর মাধ্যমে যেসব সদস্য ১০০ টাকা জমা করবে সরকার তাদেরকে আরও ১০০ টাকা দিচ্ছে। এইভাবে একটা মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পায় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।
তিনি বলেন, ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার। ইতোমধ্যে বেশকিছু জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা শহরের বস্তিতে বসবাস করে তাদের জন্য ঘরে ফেরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশে গেলে আমাকে প্রশ্ন করা হয়- বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে কি ম্যাজিক রয়েছে? আমি তাদের বলি, আসলে কোনো ম্যাজিক নেই। দেশকে ভালোবাসা, দেশকে জানা এবং দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করা- এটাই হলো মূল ম্যাজিক।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলার চোখে দেখে না। বাংলাদেশ এখন অনেকের কাছেই বিস্ময়। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। ২০০৮ সালের সঙ্গে বর্তমান অবস্থা তুলনা করলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। আমরা আমাদের বাজেট ৭ গুণ বৃদ্ধি করেছি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির সুফল এখন গ্রামের মানুষ পাচ্ছে।
পিকেএসএফের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনী ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।