নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, খুনি হাসিনার শাসনামলে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের দোসর ছিলেন বন্দরের আতাউর রহমান মুকুল। ওসমান পরিবারের ছত্রছায়ায় বন্দরবাসীর উপর শোষণ আর নির্যাতন চালিয়েছেন মুকুল অপরদিকে নিজে আঙ্গুল ফুলের কলা গাছ হয়েছেন। এখনো সেই স্বৈরাচারী ওসমান পরিবারের সাথে তার সখ্যতা রয়ে গেছে। ওসমান পরিবারের নির্দেশেই বন্দরের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছেন মুকুল আর এ উদ্দেশ্যেই মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর আতাউর রহমান মুকুল ও আবুল কাউসার আশার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বন্দর থানা বিএনপির প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
বুধবার ( ১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্দর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে বন্দরে লুটপাট আর চাঁদাবাজি চালিয়েছেন আতাউর রহমান মুকুল। বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করিয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগে বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বন্দরে জনসভা করতে আসতে চাইলে শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনী খান মাসুদ, হান্নান সরকার, সুলতানদের সাথে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় আগুন জ্বেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিলো মুকুলের নেতৃত্বে। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে সমাবেশে আসতে বাঁধা দেয়া হয়েছিলো। নির্বাচনের দিন বিএনপির পোলিং এজেন্টদের মেরে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে এই মুকুল ও তার বাহিনী।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দালালি করার অপরাধে মুকুলকে ইতিমধ্যেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সারা জীবন ওসমান পরিবারের পা চেটে এখন ভাতিজা কাউসারকে নিয়ে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে মুকুল। বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে শুরু করেছে দখল আর লুটপাট চাঁদাবাজি। বিএনপিকে বদনাম করতে ওসমান পরিবারের প্রেসক্রিপশনে সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। মহানগর বিএনপি এই দখল আর লুটপাট চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় মুকুল আর কাউসার মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই জঘন্যতম হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর শাহেন শাহ আহম্মেদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ,সাধারণ সম্পাদক হারুনুর অর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লাহ মুকুল, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উল্লাহ টিপু, ইকবাল হোসেন, আহম্মদ আলী, মহানগর যুবদল নেতা নুরে এলাহী সোহাগ, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন, হাবিবুর রহমান মাসুদ, বন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।