ডেস্ক রিপোর্ট :
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখে দিবাগত রাতটিকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন । মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন । মুসলমানরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরান তেলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।
তবে এবার করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মসজিদে না যেয়ে ঘরে ইবাদত করার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। অন্যান্য বছর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মিলাদ ও জিকির-আসগারসহ অন্যান্য কর্মসূচি আয়োজন করলেও এবার কোনও আয়োজন করা হয়নি। যদিও মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। এ নির্দেশনা অমান্য করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ কামনা করে পবিত্র শবে বরাতে বিশেষ দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। একইসঙ্গে কবরস্থান ও মাজারে জনসমাগম না করার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ বলেন, ইতোপূর্বে লক্ষ্য করা গেছে যে, পবিত্র শবে বরাতে জিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভিতরে ও বাইরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমবেত হয়। এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনা ভাইরাস ব্যাপক হারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে শবে বরাতে কবর জিয়ারত করতে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে মৃত আত্মীয়-স্বজনের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আহ্বান করা হয়েছে।
শবে বরাত মুসলমানদের কাছে লাইলাতুল বরাত নামেও পরিচিত। আরবি শব্দ লাইলা অর্থ রাত। অন্যদিকে ফার্সি শব্দ শব অর্থও রাত। আর বরাত অর্থ মুক্তি বা নিষ্কৃতি। শাবান মাসের ১৪ তারিখের এ রাতকে মুক্তির রাত বা নাজাতের রাত হিসেবে অবহিত করা হয়। এ রাতে সৃষ্টিকর্তার আছে পাপ থেকে মুক্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। এ রাতে অনেকেই নফল নামাজ, কোরান তেলাওয়াত ও দোয়া করে থাকেন। এছাড়া অনেকেই এ রাতে বাবা-মাসহ আত্মীয়দের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।