ডেস্ক রিপোর্ট:
আজ পহেলা মে। শ্রমিক দিবস। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশের গৌরবময় দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে ন্যায্য মজুরি আর দৈনিক আট ঘন্টার বেশি কাজ না করার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১০ শ্রমিকের আত্মত্যাগে অর্জিত হয় বিজয়। এর ধারাবাহিকতায় সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ নানা কর্মসূচিতে বাংলাদেশেও জমজমাট এ দিনের আয়োজন।
যদিও বাস্তবতা হলো, শ্রমিকের অধিকার আদায়ের যে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য অনেক ক্ষেত্রেই তা আজো অর্জিত হয়নি। ১৩২ বছর আগের কথা। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে প্রথম যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে সে পথ ধরেই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের স্বীকৃতি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ঘটা করে পালিত হয় দিনটি।
কিন্তু কতোটুকু অর্জিত হয়েছে শ্রমিকের অধিকার? ৮ ঘন্টা কাজ, শ্রমের ন্যায্য মজুরি তো দূরের কথা, কর্মের নিরাপত্তাই তো পান না শ্রমিকদের বড় অংশ। এই যেমন, যাদের নিরন্তর জীবন সংগ্রামে গড়ে ওঠে সুউচ্চ অট্টলিকা তাদের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? এসব নির্মাণ শ্রমিকরা নিজেদের ঘামে শ্রমে তৈরি করেন মনোরম সব প্রাসাদ। তাদের সুনিপুন হাতেই তৈরি হয় অনেকের আজীবনের নির্ভার ঠিকানা।
কিন্তু বদলায় না অভাগাদের জীবনধারা। শোচনীয় অবস্থা পরিবহন শ্রমিকদেরও। এদের বেশিরভাগই শ্রম অধিকার বঞ্চিত। জীবন-জীবিকার তাগিদে এই পেশায় যারা খেটে চলেছেন তাদের অনেকেরই নেই একটি পরিচয়পত্র। ছুটিছাটা কিংবা মজুরি নির্ভর করে মালিকের ইচ্ছার ওপর। এমনকি মে দিবসেও পান না অবসর।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলসের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে কর্মক্ষেত্রে সবচে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হন পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা যার হার ৪৮ শতাংশ। দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণ খাত। এই সেক্টরে দুর্ঘটনার হার ২০ ভাগ। শুধু নিয়ম রক্ষার কর্মসূচি পালন নয় বরং যাদের হাত ধরেই চলে অর্থনীতির চাকা তাদের অধিকারের প্রতি আরো যত্নশীল হওয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।