আড়াইহাজার প্রতিনিধি : আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র সুবিধাবাদী আওয়ামীলীগ ঘেঁষা কাশেম ফকির। জম্মলগ্ন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করা সুবিধাবাদী কাশেম ফকির ২০০১ সালে প্রয়াত বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান খসরুর হাত ধরে বিএনপিতে যোগদান করেন। সে ছিলো প্রয়াত বদরুজ্জামান খসরুর সহচর হিসেবে দাবি করে নিজেকে আড়াইজাহার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন । সে বিএনপি জেলা এবং থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সৃষ্টি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এছাড়াও কাশেম ফকির আড়াইহাজার বিএনপির ধ্বংস করার জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য শুরু করেছেন। প্রকৃতপক্ষে সে বিএনপির রাজনীতি করে না সে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। সে স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবুর ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত।
জানাগেছে, আওয়ামীলীগ ঘেঁষা কাশেম ফকির জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আড়াইহাজারে টেন্ডা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ২০০১ এ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে সে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রয়াত নেতা বদরুজ্জামান খসরুর এর সাথে আঁতাত করে বিএনপিতে যোগদান। সেই সময়ে এসে বিএনপি থেকে বিভিন্ন ফায়দা লুটে নেয় নাকি। পরবর্তীতে আবারও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু গলায় ফুলের মালা দিয়ে আবারও আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
আড়াইহাজার বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের এজেন্ট হিসাবে আড়াইহাজার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য কাশেম ফকির উঠে পড়ে লেগেছে। সে কোনদিনই বিএনপির রাজনীতি করেনি। যদি করে তাহলে বিগত ১০ বছর কোথায় ছিল। বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে কোনদিন রাজপথে দেখা যায়নি। কিন্তু হঠাৎ করে কাশেম ফকির নিজেকে আড়াইহাজার থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে থাকেন । এরপর বাগিয়ে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ। এরপর আড়াইহাজার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে নানান কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ।
তারা আরও জানান, আড়াইহাজার বিএনপি’র কমিটি গঠন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দীর্ঘদিন যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে কারাভোগ করেছিলেন সেই সব নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু হঠাৎ করে এই কমিটিকে নষ্ট করার জন্য কাশেম ফকির উঠে পড়ে লেগেছেন। কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য। মূলত তার একটাই উদ্দেশ্য হলো বিএনপিকে ধ্বংস করা। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা । দলের বিশৃঙ্খলাকারী কাশেম ফকির যেন আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র কোন পদ-পদবিতে না আসতে পারে তার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির নীতিনির্ধারক ও জেলা পর্যায়ের আহ্বায়ক কমিটির কাছে অনুরোধ জানান তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
