নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বলেছেন, জ্জোহা ভাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন । আর আমরা তার সবচেয়ে কনিষ্ঠ কর্মী ছিলাম। আমরা ছোট সময়েই জ্জোহা ভাইয়ের নেতৃত্বে ঢাকায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে অংশ গ্রহণ করি। তিনি আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নাই । আজ আমার নেতা জ্জোহা সাহেবের সন্তান সাংসদ শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান মানুষের জন্য করছে ।
শনিবার( ২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গণগ্রন্থাগারে জেলা ও মহানগর মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্দ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয় ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহামানের ঘনিষ্ঠ সহরচর ভাষা সৈনিক এ.কে.এম শামসুজ্জোহার স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, সাংসদ সেলিম ওসমান মহাজোটের প্রার্থী হয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নৌকার জন্য কাজ করছেন। কারন নৌকা ছাড়া উপায় নাই । নৌকাই আমাদের আস্থা , নৌকাই আমাদের শেষ ঠিকানা। আমরা নৌকার লোক , নৌকার রাজনীতি করি । এই নৌকাই মানুষের খুদা নিবারণের কথা বলে। আর আমাদের সবকিছুর ঠিকানা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যে দোয়া করবেন । তিনি যদি বেঁচে থাকেন তাহলে দেশ আরোও এক হাজার বছর এগিয়ে যাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মেও নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে এড. আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল বলেন, ভাষা সৈনিক শামসুজ্জোহার নামে ভাস্কর্য উম্নোচন করা জন্য তার পরিবারের অনুমতি লাগবে। আমি সাংসদ শামীম ওসমানকে আপনাদের এই দাবির কথাটি জানাবো।
সভাশেষে ভাষা সৈনিক এ.কে.এম শামসুজ্জোহার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা কওে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের আহ্বায়ক এইচ.এম. রাসেলের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারাণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সংসদের সাবেক সামিউল্লাহ মিলন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি ইশরাত জাহান স্মৃতি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজম্ম জাতীয় সম্বনয় কমিটির আহবায়ক এনামুল হক ভূঁইয়া বাদল, জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সদস্য সচিব জে. আর.রাসেল আহমেদ,মহানগরের সভাপতি হামাদান উর রহমান শান্ত, সালাউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ ।