নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: ‘আরেকটা শাপলা চত্ত্বর’ দেখিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়াল ফ্রান্স ইস্যুতে বলেছেন, রসূলের ইজ্জত নষ্ট হবে আর আমরা তা দেখতে থাকবো তা হতে পারে না।
আখেরাতের সময় রাসূলে পাক (সাঃ) এর কাছে হাউজে কাউসারের পানি পাইতে চাই। ফ্রান্সের নগন্য কীট পোকার মত একটা প্রেসিডেন্ট। আমার আল্লাহপাক ফেরাউনকে, নমরুদকে খতম করেছে তাকেও খতম করে আস্তাকুরে নিক্ষেপ করবেন।
আগামী সোমবার হেফাজতের পক্ষ থেকে ডাক আসছে। আপনারা প্রস্তুত তো ? নারায়ণগঞ্জের লক্ষ লক্ষ তৌহিদি জনতা কষ্ট করে পায়ে হেটে নিজের জীবন বাজি রেখে শাপলা চত্ত্বরে শহীদ হয়েছিল। আমরা আরেকটা শাপলা চত্ত্বর দেখিয়ে দিতে চাই।
ফ্রান্সে ইসলামের মহানবী মোহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও প্রেসিডেন্টের ইসলামকেন্দ্রিক বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এক মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলে বলেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের ব্যানারে এ মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
মহানগর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহরের আমলাপাড়া মাদরাসার মোহতামিম আব্দুল কাদের, দেওভোগ মাদরাসার মোহতামিম আবু তাহের জিহাদী, জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন কাসেমী।
আরও উপস্থিত ছিলেন অনৈতিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির কেন্দ্রীয় আমীর আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি ইলিয়াস হোসাইন, মহানগর ওলামা পরিষদের সহসভাপতি আব্দুর রহিম, সহসভাপতি মুফতি বশির আহমদ, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
এ সময় মাওলানা আব্দুল আউয়াল প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, অতি দ্রুত আপনি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন করেন। ফ্রান্সের দুতাবাসকে বাংলার জমিন থেকে উৎখাত করেন।
তা নাহলে নবীর সৈনিকেরা ফ্রান্সের দূতাবাসকে উৎখাত করে ছাড়বে। অতি তাড়াতাড়ি সংসদে আইন পাশ করুন। আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল কোনো কটুক্তি করা হয় তাকে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।
তিনি বলেন, রসূলের ইজ্জত নষ্ট হবে আর আমরা তা দেখতে থাকবো তা হতে পারে না। আখেরাতের সময় রাসূলে পাক (সাঃ) এর কাছে হাউজে কাউসারের পানি পাইতে চাই।
ফ্রান্সের নগন্য কীট পোকার মত একটা প্রেসিডেন্ট। আমার আল্লাহপাক ফেরাউনকে, নমরুদকে খতম করেছে তাকেও খতম করে আস্তাকুরে নিক্ষেপ করবেন।
এক পর্যায়ে হেফাজতের কর্মসূচিতে কারা কারা অংশগ্রহণ করবেন জানতে চেয়ে হাত উচিয়ে ধরতে বলেন। পরে উপস্থিত তৌহিদি জনতা হাত উচিয়ে তাকে সমর্থন দেন। এ সময় তারা স্লোগ্নান ধরেন, ‘ইসলামের শত্রুরা হুশিয়ার, সাবধান।’
এ ছাড়াও তিনি হুশিয়ারী দিলেন, আমার নবীর ব্যাঙ্গচিত্র যারা করেছে তারা এখন আনন্দে আছে। নাস্তিকদের জানিয়ে দিতে চাই, বাংলার জমিতে কোনোদিন তোমাদের ঠাই হবে না। তোমাদের যেখানে পাওয়া যাবে কুত্তার মত পিটিয়ে শেষ করে দেয়া হবে।
লক্ষ তৌহিদি জনতা বেঁচে থাকতে তোমাদের বাংলার জমিতে থাকতে দেয়া হবে না। থাকতে চাইলে মুচলেখা দিয়ে থাকো। নয়তো বাংলাদেশ থেকে চলে যাও।