ডেস্ক রিপোর্ট:
‘আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেবো আকাশে…’- সত্যি সত্যি অগণিত ভক্তকে কাঁদিয়ে আকাশে চলে গেলেন তিনি। হয়ে গেলেন ওই দূর আকাশের তারা। চাইলেও যে তারাকে কেউ ছুঁতে পারবে না কোনোদিন।
‘এক আকাশ তারা তুই একা গুণিস নে/গুনতে দিস তুই কিছু মোরে’– গানে গানে এমনটাই বলেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। কিন্তু আজ নিজেই চলে গেলেন একা তারা গুনতে।
তার ফেরারি মনটা আর থাকতে চাইছিলো না এই পৃথিবীর বুকে। তাইতো সব বাধা-বিপত্তি পার করে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। আর- ‘ফেরারি এই মনটা আমার/মানে না কোনো বাধা…’- সত্য করে গেলেন এই গানের কথা।
‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো/অনেক কথায় মুখর আমায় দেখো/দেখো না কেউ হাসির শেষে নীরবতা/বোঝে না কেউ তো চিনল না/বোঝে না আমার কী ব্যথা’- তার ব্যথাটি কেউ বুঝতে পারেননি। পারলে হয়তো এতো জলদি বিদায় নিত না।
‘সুখেরই পৃথিবী/ সুখেরই অভিনয়/ যত আড়ালে রাখো/ আসলে কেউ সুখী নয়/ নিজ ভুবনে চিরদুঃখী/ আসলে কেউ সুখী নয়…..’- কী দু:খ ছিলো তার? যে এভাবে সকলকে কাঁদিয়ে চলে যেতো হলো তাকে।
এই রুপালি গিটার ফেলে/ একদিন চলে যাব দূরে, বহু দূরে/ সেদিন চোখের অশ্রু তুমি রেখো গোপন করে..’ -সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় আইয়ুব বাচ্চুকে একটি গিটার কিনে দিয়েছিলেন তার বাবা। শুরুটা হয়েছিলো সেখান থেকেই।
গিটারের ছয় তারে তিনি জয় করেছেন উপমহাদেশ কোটি কোটি শ্রোতাদের হৃদয়। তার গিটারের যাদুতে মুগ্ধ হতে শ্রোতারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন ঘণ্টার পর ঘন্টা। গানের সঙ্গে তার মন মাতানো গিটারের সুর শ্রোতাদের মনকে আন্দোলিত করতো। অনেক সময় শুধু গিটারের সুরেই মঞ্চ কাঁপিয়েছেন তিনি। আজ সেই গিটারের তার ছিঁড়ে গেছে।