নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি বলেছেন, আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ সদর বন্দর আসনের মানুষের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সেলিম ওসমানকে জয়যুক্ত করতে হবে। মোট কথা উন্নয়নের স্বার্থে দানবীর সেলিম ওসমানের কোন বিকল্প নাই।
বৃহষ্পতিবার রাতে বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ পাঁচ আসনের লাঙ্গলের পার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই মাস বিজয়ের মাস। ত্রিশ লক্ষ শহীদদের ও আড়াই লক্ষ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই দিন স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরা তাদের নির্র্মমভাবে হত্যা করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এখন দুইটা দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। একটি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর অন্যটি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। এই বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির সাথে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির নির্বাচন করতে হচ্ছে। এটা আমাদের লজ্জার এটা আমাদের কলংকের। সারা পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে কি আছে যে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি এভাবে রাজনীতি করতে পারে ও নির্বাচন করতে পারে। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি সু সংগঠিত হয়ে টেনে এই দেশকে পিছনের দিক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কেন সম্ভব হয়েছে কারন যে নেতার নেতৃত্বে যে বীরের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। আমরা বাঙ্গালীরা ৭৫ এ সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সহ পরিবারে হত্যা করেছি। তারপর কে ক্ষমতায় আসলো জিয়াউর রহমান। আর তিনি ক্ষমতায় আসার পর সেই পরাজিত শক্তিকে পুনরায় উথাপিত করলো। তার ক্ষমতায়নে আবারও এই বাংলার মাটিতে রাজাকারদের নাগরিকত্ব দান করলো। তাদের রাজনীতি করার ক্ষমতা দান করলো। এবং এই দেশকে একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে ও পাকিস্তানি তালেবানী রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করতে কাজ করে গেল।
যার বদৌলতে এখনো স্বাধীনতা বিপক্ষের শক্তিরা নির্বাচন করতে পারে। এখন আবার একটা যুদ্ধের প্রয়োজন। যেই যুদ্ধে আমরা কোন রক্তের ক্ষরন চাই না। এই যুদ্ধ হল চেতনার যুদ্ধ। মুজিবাদ কায়েমের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত ডিজিটাল দেশ নিমার্ণ করার যুদ্ধ। যাতে করে আমাদের একটি বাঙ্গালীও না খেয়ে থাকবে না সেই যুদ্ধ। ১০ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। সেই উন্নয়নকে নস্ট করতে আবারও জঙ্গিবাদের মাধ্যমে বোমা হামলা করে বাংলার মানুষের প্রান নাশ করার জন্য আবারও ঐক্যবব্ধ হয়েছে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। যেখানে বিএনপি আছে, জামাত আছে, সুশিল আছেন আর কিছু নিজের সুবিধার জন্য রাজনীতি করেন। যিনি কখনো আওয়ামীলীগ আবার কখনো ধানের শীষ আবার কখনো আনারস নিয়ে নির্বাচন করেন। এস এম আকরাম নাকি এই এলাকার মানুষ। তিনি নাকি এমপি ছিলেন। কই তিনি এই এলাকার জন্য কি উন্নয়ন করেছেন। তিনি ঢাকার উত্তরায় পরে থাকেন। স্বাধীনতা বিপক্ষের শক্তির সাথে হাত মিলিয়েছেন। এই এলাকার মানুষ বলেন এই এলাকায় একটি ভাল রাস্তা করেন নাই। তিনি তাহলে কেমন এমপি। বিএনপি খন্দকার মোশাররফ’র সঙ্গে আইএসআই কর্মকর্তা’র
ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। বিএনপির ফাঁসকৃত ফোনালাপে নির্বাচনে বিএনপিকে জয়ী করতে আইএসআই’র কাছে খন্দকার মোশাররফকে সাহায্য চাইতে শোনা যায়। আজেক স্বাধীনতা বিপক্ষের শক্তি বুঝে গেছে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। আর সেই মুহুর্তে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে নির্বাচন বানচালের করার। ৪৭ বছর পাকিস্তানের শক্তির সাথে আতাত করে বোমা হামলা করে মানুষকে হত্যা করতে চায় এই দেশকে ধ্বংস করতে চায় তারা। তাদের এই স্বপ্ন বাংলার মানুষ পূরন হতে দিবে না। এই দেশের মানুষের স্বাধীনতার স্ব পক্ষের শক্তি ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে তার জবাব দিবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজকে পদ্ধাসেতু হয়েছে। লোডসেডিং এই কথাটা কিছুদিন পরে রুপ কথার গল্পের মতো শুনাবে। বিগত ১০ বছরে বিদ্যুৎ বহুগুন বেড়েছে। আজকে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আমরা নতুন প্রজম্ম স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি ধারন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমার এখন দলমত বুঝি না ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। আর তারই মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান। তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে ৭টি স্কুল কলেজ করেছেন। যিনি নিজের অর্থায়নে রাস্তাঘাট করেছেন। ২০০৪ সালে বন্যা কবলিত হাজার হাজার মানুষকে সহযোগীতা করেছেন। আর সেই সহযোগীতার অনুদান আওয়ামীলীগ বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হাত ধরে দিয়েছেন। কারন তিনি দলমত বুঝেন না। আজকে সেলিম ওসমান উন্নয়নের মাধ্যমে বন্দরকে বিকশিত করেছেন। তিনি তার ওয়াদা মত কাজ করেছেন। তাই তার পরবর্তী ওয়াদা রাখতে আমরা তাকে আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবো। বিবেকের টানে নৈতিক দায়িত্বের কারনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আসুন আমরা সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করি। আর যদি এটা না করি তাহলে সেলিম ওসমানের সাথে আমাদের বেঈমানি করা হবে। কারন তার মত উন্নয়ন কেউ করে নাই।
সুচিয়ারবন্দ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান নান্নু, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সজীব, ওয়ার্ল্ড এন্টি টেরিইজম জেলা শাখার সভাপতি ফাহিম ভূইয়া এমিল, সাধারণ সম্পাদক নিশান কাফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রায়হান, সাবেক সহ সভাপতি আরাফাত রহমান জুম্মান, আরিফ হোসেন, সাবেক সদস্য আহাম্মেদ হৃদয়, যুবলীগ নেতা শামসুল হাসান খান পরশ, গোলাম মোস্তফা, আল আমিন, স্বপন দে, সামসুল আলম সায়েম, রিপন ভূইয়া। এছাড়া যুবলীগ নেতা অলি ওল্লা রাজু, আব্দুল্লাহ মামুন, উজ্জল সরকার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টি নেতা চাঁন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন, চুন্নু, চান মুহাম্মদ, আলী আরশাদ সহ এলাকার মুরব্বীরা।