নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
পুনর্বাসন ছাড়া ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ না করার দাবি জানিয়ে এবার স্বপরিবারে রাজপথে নেমেছেন শহরের হকাররা।
সোমবার (২ মার্চ) সকাল ১১ টায় চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর হকার্সলীগের ব্যানারে একটি মিছিল বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নগর ভবন) এর সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
এ সময় স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের সাথে নিয়ে এই দাবি জানায় শহরের হকাররা। তারা জানায়, কথায় কথায় উচ্ছেদ এবং ধাওয়া করা এবার বন্ধ করতে হবে। সড়কে দোকানদারী করতে না পারায় স্ত্রী সন্ত্রানদের নিয়ে সমাজে টিকে থাকাটা তাদের কাছে কষ্টকর হয়ে উঠছে।
তাই হরাহকারদের অন্যত্র পুনর্বাসনের পূর্বে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ফুটপাতে বসার সুযোগ করে দিতে হবে। নয়তো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ বিষয়ে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করে হকার নেতারা। মেয়রের পক্ষ থেকে স্বারকটি গ্রহন করেন নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) আবুল আমিন।
নগর ভবনের সামনে হকার নেতা রহিম মুন্সি বলেন, আইনের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য আইন। যেই আইন দিয়ে মানুষের কোন উপকার হয়না সেই আইনের কি মূল্য আছে? কারন হকারা অল্প পুঁজিতে কোনরকম ব্যবসা করে খায়। তাদের কথায় কথায় উচ্ছেদ করে কোন আইন পালন করা হয়, তা আমি জানিনা।
বাংলাদেশে প্রতিদিন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এমনিতেই মানুষ নিজ নিজ কর্মসংস্থানে থেকেও জীবনের অভাব কটছে না। কিন্তু আমাদের কর্মসংস্থান ঠিক না করে দিয়ে বর্তমান কর্মসংস্থান থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা পরিবার নিয়ে কি করে বাঁচবো বলেন?
অন্যান্য হকার নেতারা আরো বলেন, কোন হকার বলেনা যে, আমার রাস্তাঘাট বন্ধ করে মানুষের সমস্যা তৈরী করবো। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ একটি দাবি করে আসছি যে, এমন একটি ব্যবস্থা চাই যার মাধ্যমে হকাররাও ব্যবসা করতে পারে এবং মানুষও চলাচল করতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন আমদের ৬৭২ টি দোকান দিয়েছিলো যার এক একটির আয়তন ৩ ফুট। এতে কি দোকান বসানো যায়? যায়না। আমাদের দাবি একটি বহুতল ভবন যেখানে আমরা সবাই ভালো ভাবে ব্যবসা করতে পারবো। এতে আমরাও ভালো থাকবো এবং ফুটপাতও হকারমুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ১০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে চলমান হকার উচ্ছেদ ইস্যুকে কেন্দ্রকে আইভীর সাথে শামীমপন্থী এবং হকারদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।