নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: রফিকুল ইসলাম রিয়াদ নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আমার সৎ বোনেরা আমাকে আমার বৈধ প্রাপ্য সম্পত্তি কম দেওয়াতে আমার প্রকৃত হিস্যা দাবী করে মামলা দেওয়াতেই শত্রুতা করে টাকা-পয়সা, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করছে। আমি আইনের আশ্রয় চাই।
বুধবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর ) বিকেল চারটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন – আমি রফিকুল ইসলাম রিয়াদ, পিতা-মৃত সিরাজুল মাওলা, মাতা-রাশিদা বেগম, সাং-২০১, পশ্চিম দেওভোগ, কৃষ্ণচুড়ার মোড়, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। আমি জন্ম থেকেই পৈত্রিক বাড়ীতে বসবাস করে আসছি। আমার সৎ মা তাহার ঔরষে ৬ কন্যা রেখে তিনি ১৯৮২ সালে মারা যান। পরবর্তী আমার বাবা ২য় বিবাহ করেন এবং ২য় স্ত্রী অর্থাৎ আমার মার গর্ভে আমি একমাত্র পুত্র ও দুই বোন জন্ম গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে আমার পিতা মৃত্যু বরণ করার পর থেকে আমাদেরকে আমার পৈত্রিক বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য আমার সৎ ৬ বোন নানা রকম অন্যায়, অত্যাচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। তখন এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি জানাই এবং তারা বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিমাংশা করার জন্য তাদেরকে একাধিক বার ডাকে কিন্তু তারা কোন ভাবেই মিমাংশা করার জন্য রাজি হয় নাই এবং উপস্থিত হয় নাই। গত ২ বছর থেকে তাদের অত্যাচারের পরিমাণ মাত্রারিক্ত হয়ে যায়। আমাদেরকে বাড়ী ছাড়ার জন্য নানা রকম হুমকি প্রদান করতে থাকে। বাড়ী না ছাড়লে আমাদের মারধর করে বাড়ী ছাড়া করবে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়া আসছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ১৬ জুন আমার সৎ বোন সেতারা আক্তার সেলিনার ছেলে কায়েছ আহম্মেদ পল্লব তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের বসত বাড়ী ভাংতে আসে। আমি এই ব্যাপারে ১৪৫ ধারায় নারায়ণগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা করি। মামলার ধারা অনুযায়ী শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে উভয় পক্ষ মিমাংশার করার জন্য বলিলে তাতেও কোন কাজ হয় নাই। পরবর্তীতে আমি একটি বন্টননামা মামলা করি। আমার সৎ বোনদের সাথে সম্পদের ফরায়েজ নিয়ে বন্টন নামা মামলা বিরাজমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা কোর্ট আদালতে রয়েছে যার মামলা নং ২৬৩/২০২৩। মামলা করার পর থেকে তারা আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদান করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৮ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে আমার সৎ বোন সেতারা আক্তার সেলিনার পুত্র কায়েছ আহম্মেদ পল্লব ১৫০ থেকে ২০০ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ীতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর চালায় আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে। এই বিষয়ে আমি ফতুল্লা থানায় এবং ডিসি অফিসে অভিযোগ দায়ের করি। ঐ ঘটনা বিভিন্ন পত্রিকায়, সামাজিক মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই কায়েছ আহম্মেদ পল্লব আমার ক্ষতি করার জন্য এবং আমাকে মেরে ফেলার জন্য একাধিক বার হুমকি প্রদান করছে এবং আমার ব্যক্তিগত সুনাম নষ্ট করার জন্য আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করছে।
মূলতঃ আমার সৎ বোনেরা আমাকে আমার বৈধ প্রাপ্য সম্পত্তি কম দেওয়াতে আমার প্রকৃত হিস্যা দাবী করে মামলা দেওয়াতেই শত্রুতা করে টাকা-পয়সা, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করছে। আমি আইনের আশ্রয় চাই। কায়েছ আহম্মেদ পল্লব ও আমার সৎ বোনেরা ছাড়া আমার কোন শত্রু নাই। আমার এবং আমার পরিবারের কোন ক্ষতি হলে তার জন্য একমাত্র তারাই দায়ী থাকবে।