নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজপথে আছি এবং থাকব। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।
বুধবার ( ১১ অক্টোবর ) একান্ত সাক্ষাৎকারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ এসব কথা গুলো বলেন।
আজাদ বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অনুমতি দিচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে সকল দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ পাক যেন তাকে সুস্থতা দান করেন।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা এদেশের কোটি মানুষের স্পন্দন এদেশের বীর দেশনায়ক তারেক রহমান যে এক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সেটি কি। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনা তুই কবে যাবি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি ও এক দফা দাবিতে রাজপথে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। জেলা বিএনপির সাথে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিটি কর্মসূচিতে আড়াইহাজার বিএনপি’র ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করছি। প্রতিটি কর্মসূচিতে অতীতেও ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একটাই দাবি সেটি হলো শেখ হাসিনা সরকারের পতন করতে হবে। তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে। তার জন্য আড়াইহাজার বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে যা যা দরকার তাই করবে। আন্দোলন করতেই হবে আন্দোলনের বিকল্প কিছু নাই। আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন করতে হবে। আর আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবে। এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন আমাদের কোটি মানুষের স্পন্দন দেশনায়ক জননেতা তারেক রহমান।
সম্প্রীতি গত ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সমাবেশে ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আড়াইহাজারের মাহমুদুর রহমান সুমনের উপর বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হামলাও তার গাড়ি ভাংচুরের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সবাই বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করি। মিছিল শেষে হঠাৎ করে শুনেছি সুমনের উপর নাকি বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। সেখানে আমাদের আড়াইহাজারের কোনো দলীয় নেতাকর্মীরা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আমি শুনেছি গত ৬ অক্টোবর একটি টেলিভিশন চ্যানেল এমপি বাবুর সাথে সুমন টকশো করে। সেই টকশোতে এমপি বাবু সুমনের পক্ষে সাফাই গায়। এতে করে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের চরম ক্ষোভের সঞ্চয় হয়। সেই ক্ষোভ থেকেই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা চালায়। সেই সময়ে আমাদের কিছু দলীয় নেতাকর্মী গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হাত সুমনকে সেইভ করে। এখন উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। আমি নাকি নেতাকর্মীদের বলেছি তার সুমন হামলা চালাতে। আমার রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন রেকর্ড নাই। দলের রাজনীতি করতে গিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও নির্যাতন রাজনৈতিক শিষ্টাচার হতে পারে না।