নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
জনসভা নয় জনসেবাই তাঁর রাজনীতি এবং যতক্ষন জীবন চলবে ততক্ষন জনসেবাই করে যেতে চান বলে মন্তব্য করেছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। তিনি বলেছেন, অনেক রাজনীতিবিধ বড় বড় জনসভা করেন। কিন্তু আমি বড় বড় জনসভায় বিশ্বাসীনা। জনসেবা করাই আমার রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য এবং যতক্ষন জীবন চলবে মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আমি নারায়ণগঞ্জের জনগনের সেবা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাবো।
শুক্রবার ২৯ মার্চ বিকেল ৪টায় বন্দরে ধামগড় ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া এলাকায় শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৩৫নং কামতাল হালুয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরন, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে এমপি সেলিম ওসমান শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয় ভবনটি চলতি বছরের মধ্যেই ৫তলা সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি স্কুল পরিচালনা কমিটিকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল ভবনের কক্ষ গুলোতে দরজা-জানালা কাজ সম্পন্ন করা এবং ৩০টি কম্পিউটার দিয়ে একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব নির্মাণ সহ আগামী সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত নাগিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটিও ৫তলা সম্পন্ন করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এসকল উন্নয়ন কাজ গুলো তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই সম্পন্ন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটিকে স্কুল এন্ড কলেজে রূপান্তির করা হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন এমপি সেলিম ওসমান। এ জন্য তিনি স্কুল দুটি পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয়দের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম তাদের বক্তব্যে, নিজ অর্থায়নে হালুয়াপাড়া এবং বাগদোবাড়িয়া’র মত প্রত্যন্ত এলাকা দুটিতে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয় এবং নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয় নামে আধুনিক দুটি স্কুল নির্মাণ করে উক্ত এলাকার সন্তানদের উজ্জল ভবিষ্যত গড়তে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেওয়ায় এমপি সেলিম ওসমানের প্রতি কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও তাঁর উন্নয়ন কর্মকান্ডে পাশে থেকে সার্বিক সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
এদিকে এমপির ব্যক্তিগত অর্থায়নে শেখ জামাল ও নাগিনা জোহা স্কুল দুটি নির্মাণের পেছনে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশিদ এর কৃতিত্ব এবং বড় ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন এমপি সেলিম ওসমান। তিনি বলেন, রশিদ ভাই আমার বাবার সাথে রাজনীতি করেছেন। আমি উনাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। যে কোন ভাল কাজ করতে গেলে প্রয়োজন ভাল দিক নির্দেশনা। স্কুল দুটি নির্মাণে উনি আমাকে সেই দিক নিদের্শনা দিয়েছেন। মূলত উনিই আমাকে এই এলাকা গুলোতে স্কুল গুলো নির্মাণের পরামর্শ দেন এবং স্কুল নির্মাণে নিজেও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এজন্য আমি রশিদ ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি অতীতের মত ভবিষ্যতেও আমি স্থানীয় সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতা কামনা করছি।