সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। সেই সাথে মিথ্যা মামলা ও ভিত্তিহীন মামলার প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বন্দরে হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করাকে কেন্দ্র করে নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গত ৬ সেপ্টেম্বর আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যা চেষ্টার মামলাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই আরেকটি মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সুবিধাদি ওসমান পরিবারের দালাল বহিষ্কৃত আতাউর রহমান মুকুল ও পদত্যাগকারী আবুল কাউসার আশার যোগশাজসে একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা ঘটিয়ে নিজেদের লোক দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা বন্দর থানায় গিয়ে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করতে চেয়েছিল কিন্তু পুলিশ তা গ্ৰহণ করেনি। এরপর আদালতে মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরও প্রতিবাদ জানান- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মো. রেজা রিপন, এম এইচ মামুন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর অর রশিদ লিটন।
উল্লেখ্য – নারায়ণগঞ্জের বন্দরে হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করাকে কেন্দ্র করে নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ মোহসেনের আদালতে আহত নূর হোসেনের চাচাতো ভাই শাহাদাৎ হোসেন শেখ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বন্দরের তিনগাঁও এলাকায় পশু হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়। মামলায় উল্লেখ কার টিপু ছাড়া অপর আসামিরা হলেন বন্দর বিএনপি নেতা শাহেন শাহ, আসাদুজ্জামান বাদল, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সম্রাট হোসেন সুজন, রাজু আহমেদ, শাহিন, ইকবাল হোসেন, মো জাহিদ খন্দকার, যুবদল নেতা সাগর প্রধান, সুজন, মো. রহমত।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনা ঘটার আগে থেকেই সদস্য সচিব টিপু, শাহেন শাহ ও বাদলের হুকুমে সুজন বাদীর চাচাতো ভাই নূর হোসেনকে। মিথ্যা হত্যা মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন নূর হোসেন এই টাকা না দেওয়ায়। সুজন, রাজু ও শাহিন তাকে খুন করার হুমকি প্রদান করে চলে যান। পরবর্তীতে গত ৬ সেপ্টেম্বর পশু হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা আবারও তার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পুনরায় সে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজন পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করেন। এসময় বাকি আসামিরা চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে এলে আসামিরা হুমকি প্রদান করে চলে যায় এবং তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।