নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, এ সরকারের আমলে আপনাদের এলাকায় যতদ্রুত উন্নয়ন হয়েছে এর কৃতিত্ব এই এলাকার চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বা আমি এমপি সেলিম ওসমানেরও নয়। এই কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এই নারায়ণগঞ্জে আমার দাদার বাড়িতে আওয়ামীলীগের জন্ম। দাদা বাবা ভাই সবাই আওয়ামীলীগের এমপি ছিলেন এবং সবাই এই এলাকায় কাজ করেছেন। এখন আমিও আপনাদের গোলামী করছি। কিন্তু একটু কষ্ট আমি উনাদের মত আওয়ামীলীগের এমপি হতে পারি নাই। কিন্তু যেখানে নৌকা নাই সেখানে লাঙ্গলই শেখ হাসিনার মার্কা এটা শুনে খুব আনন্দ লাগে। তবে আমি আশা করছি আগামীতে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার ( ১১ ডিসেম্বর ) বিকেল ৩টায় আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে কুড়েরপার শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবেন তাহলে দেখবেন আগামীতে কাকে এমপি বানাবেন সেই মানুষটিকে আপনাদের খুঁজতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, এখানকার মানুষের সুবিধা হলো এখানে ইন্ডাস্ট্রির চেয়ে কৃষি কাজ ভালো হয়। এখানে আলুর ফলন ভালো হয়। কিন্তু এখানে কোনো আলুর চিপস বানানোর কোনো কারখানা নেই। যদি এখানে চিপসের কারখানা থাকতো তাহলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হতো। আপনারা আপনাদের বাড়ির মহিলাদের সম্মান দেন। তাদের সহযোগিতা করেন। আমার স্ত্রী যদি আমাকে সমর্থন না দিতেন তাহলে আজ আমি সেলিম ওসমান হতে পারতাম না। তিনি মহিলাদের সমবায়ের ভিত্তিকে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলীরটেক ইউনিয়নের উন্নয়নে অতীতে কি কি ভুল ভ্রান্তি হয়েছে সে বিষয়ে জানতে এমপি সেলিম ওসমান উপস্থিত সকলের মধ্যে থেকে ৩জনকে মঞ্চে আসার আহবান রাখেন। এ সময় স্থানীয় একজন পুরুষ ও একজন মহিলী এবং একজন তরুণ মঞ্চে এসে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় পুরুষ ব্যক্তিটি নিজেকে বিএনপি দলীয় কর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন, গত ২০ বছরে আলীরটেক ইউনিয়নে এতো উন্নয়ন হয়নি যতটা এমপি সেলিম ওসমানের মাধ্যমে হয়েছে। তাই তিনি আগামী নির্বাচনে সবাইকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে সেলিম ওসমানকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহবান রাখেন। একই আশার কথা শুনা গেছে অপর মহিলার মুখ থেকেও।
তবে স্থানীয় যুবক তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের ইউনিয়ন এলাকায় কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় এখানকার যুবকেরা শিক্ষিত হওয়ার পর বেকার জীবন যাপন করছেন। ভবিষ্যতে এখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলে স্থানীয় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো।
মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, বিকেএমইএ প্রথম সহ সভাপতি মনসুর আহম্মেদ, জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা জাতীয় পার্র্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।