নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে নির্ধারিত হয়ে গেছে ক্ষমতাশীণদের বিপরীতে বিএনপি নেতৃত্বধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাঁচ প্রার্থী। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নির্ধারণ সমাপ্ত হয়।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে ক্ষমতাশীন মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী আর তার বিপরীতে ধানের শীষের চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। এ আসনে বিএনপি’র প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও চেয়ারপার্সণের উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকার এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কার্যনির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুও। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়ে মনোনয়নের টিকিট বাগিয়ে আনেন কাজী মনির।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন পান বর্তমান সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু। বিএনপি থেকে এই আসনে চুড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে। এ আসনে বিএনপি’র প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাবেক সাংসদ আতাউর রহমান আঙ্গুর ও আড়াইহাজার থানা বিএনপি’র ভাপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে ক্ষমতাশীণ মহাজোট থেকে প্রার্থী করা হয় জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাকে। খোকার বিপরীতে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংসদ একেএম শামীম ওসমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী ধানের শীষের চুড়ান্ত মনোনয়ন লাভ করেন। একই আসনে বিএনপি’র প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলাি বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি মো: শাহ আলম।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান। এ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ দেয়া হয় নাগরিক ঐক্যের এসএম আকরামকে। একই আসনে ধানের শীষের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. আবুল কালাম ও ২০ দলীয় জোটের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইদ আহমেদ।