নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বাণী অর্চনা, বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি ) সকাল সোয়া ৯টায় নগরীর রামকৃষ্ণ মিশনে শ্বেতশুভ্র বসনা জ্ঞানদায়িনী দেবী সরস্বতীর পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে প্রণাম জানান বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে। পরে দেবীর সামনে ‘হাতে খড়ি’ দিয়ে ছোট শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ, দেওভোগ সাধু নাগ মহাশয় আশ্রয়ের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমল পোদ্দার প্রমুখ ।
রামকৃষ্ণ মিশনে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় ছিল পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এ প্রধান উৎসবকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল ধর্মীয় আমেজ। রাজহাঁসে বসে বিদ্যা ও জ্ঞানদাত্রী দেবী আসেন এ দিনেই।
প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবীর আবাহন করা হয়। ঢাক-ঢোল-কাঁসর আর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ।
সরস্বতী বিদ্যার ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিত হন।ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সরস্বতী দেবীর আরাধনা করা হয়।