নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : ফতুল্লায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় মামলায় জামিন নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি সহ ৫জন ।
বুধবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি ) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীনের আদালত ৫’শ টাকা বন্ডে এ জামিন মঞ্জুর করেছেন। মামলা নং ১৩(২)২০২১।
জামিন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, কায়েস আহমেদ পল্লব, রেমন রাজিব, মো. রুবেল, সাজ্জাদ হোসেন সাজ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ফতুল্লায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ঘটনায় মামলায় জামিন নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি সহ ৫জন।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। এটা সক্রিয় নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় করা ছাড়া কিছুই না।
আমার ছোট ভাই ও ভাগ্নেসহ ছাত্রদলের নিরীহ আরও চারজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।
তিনি আরোও বলেন, ঘটনার সময়ে আমি জেলা বিএনপির মতবিনিময় সভাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। বাইরে কি হয়েছে আমি তা অবগত ছিলাম না। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি যে এ ঘটনা ঘটেছে। । রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এবং ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকীর উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার মূল নায়ক তিনি। সেই নিজেই এই ঘটনার ঘটিয়ে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ছোট্ট করতেই এ ঘটনার নাটক সাজানো হয়েছে। অতীতের তার এমন অনেকে ঘটনাই আছে।
প্রসঙ্গত, ফতুল্লায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও তার ছোট ভাইসহ ছাত্রদলের সাতজনের নাম উল্লেখ করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত রোববার ( ৭ ফেব্রুয়ারি ) সন্ধ্যায় আহত ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, তার ছোট ভাই রুবেল, তাদের ভাগ্নে ইয়াসিন আরাফাত, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দোলন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজ, ছাত্রদল নেতা রাজিব, কায়েম আহমেদ পল্লবসহ অজ্ঞাত ২০ জন। এর শনিবার বিকালে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম খন্দকারের মজলুম মিলনায়তনের কাছে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই দিন বাদীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে তৈমূর আলমের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রনিসহ তার লোকজন সাগর সিদ্দিকীর পের হামলা চালায়। এতে সাগরসহ অন্তত ১০ জন ধারালো ছুরির আঘাতে আহত হন।