নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে ৪৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ এবং ১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (২ ডিসেম্বর) মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের পরে ৬১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করেন নারায়ণগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে মোট মনোনয়ন জমা পরেছিলো ১০ জন প্রার্থীর। এদের মধ্যে জাকের পার্টির মাহফুজুল হক এবং স্বতন্ত্র র্প্র্থাী রেহেন আফজালের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন ৮ জনকে বৈধ ঘোষনা করে। বৈধরা হলেন বতর্মান এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী, বিএনপির’র কাজী মনিরুজ্জামান, এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া, জাতীয় পার্টির মো. আজম খান, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির মো.মনিরুজ্জামান চন্দন, ইসলামী আন্দোলনের মো. ইমদাদুল্লাহ ও মো.হাবিবুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মোট মনোনয়ন জমা পরে ৮টি। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয়ের মনোনয়ন বাতিল করে বাকী ৭ জনকে বৈধ ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। বৈধরা হলেন বর্তমান সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, বিএনপি’র নজরুল ইসলাম আজাদ, মাহমুদুর রহমান সুমন ও সাবেক সাংসদ আতাউর রহমান আঙ্গুর, কমিউনিষ্ট পার্টির হাফিজুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাসিরউদ্দিন, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মোট মনোনয়ন জমা পরে ১৫ জনের। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী অনন্যা হোসেন মৌসুমি, মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সফিকুল ইসলাম, বিএনএফ এর শাহবুদ্দিন হোসেন এবং গনফ্রন্টের সিরাজুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করে বাকী ১০ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। বৈধরা হলেন বর্তমান সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, তরিকত ফেডারেশনের মজিবর রহমান মানিক, বিএনপি’র আজহারুল ইসলাম মান্নান, জাকের পার্টির মোস্তফা আমীর ফয়সাল, জেএসডি’র ফখরুদ্দিন ইব্রাহীম, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সানাউল্লাহ নুরী, কমিউনিষ্ট পার্টির আ: সালাম বাবুল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাত।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে মোট মনোনয়ন জমা পরে ১৬টি। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ, মো: গিয়াসউদ্দিন ও জিএম কায়সার, জাতীয় পার্টির সালাউদ্দিন খোকা মোল্লা এবং বিএনপি’র অধ্যাপক মামুন মাহমুদের মনোনয়ন বাতিল করে বাকী ১১ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। বৈধরা হলেন বর্তমান সাংসদ একেএম শামীম ওসমান, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) থেকে সেলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির (সিবিপি) ইকবাল হোসেন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, বিএনপি’র মো: শাহআলম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির থেকে কমরেড মাহমুদ হোসেন, ওয়ার্কাস পার্টির হিমাংসু সাহা, ইসলামী আন্দোলনের মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে মোট মনোনয়ন জমা পরে ১২টি। এর মধ্যে বিএনপি’র মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মনোনয়ন বাতিল করে বাকী ১১ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। বৈধরা হলেন বর্তমান সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান, বিএনপি’র এড. আবুল কালাম, এসএম আকরাম, সাম্যবাদী দলের সাইদ আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের আবুল কালাম মুন্সি, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ বাহাদুর শাহ, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান জামাল, কল্যাণ পার্টির আল আফতাব, কমিউনিষ্ট পার্টির মন্টু ঘোষ, বাসদের আবু নাইম খান বিপ্লব ও খেলাফত মজলিসের মো: কবীর হোসেন।
এদিকে যাচাই বাছাই শেষে আগামী ৩ দিন প্রার্থীরা আপিল করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া।