নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : ঘনিয়ে আসছে ঈদুল ফিতর ও নববর্ষ ।মূলত এই দুই উৎসব ঘিরে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের মার্কেট গুলোতে সব ধরনের কেনাকাটা ধুম। আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ পালিত হবে সারাদেশে। এর ঠিক সপ্তাহখানেক বাদে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
ঈদ ও নববর্ষ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে শহরের শপিংমল ও মার্কেট গুলো। এরই মধ্যে বেচাকেনায় জমে উঠেছে নগরীর ফ্যাশন হাউস গুলোতে। সকালে তেমন ক্রেতা উপস্থিতি না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
যারা ইতোমধ্যে মার্চ মাসের বেতন পেয়ে গেছেন, তারা আগে-ভাগে ছুটে আসছেন মার্কেটে। করছেন কেনাকাটা। ভিড় বাড়তে শুরু করছে মার্কেটগুলোতে। আর যারা আগামী সপ্তায় বেতন ও পহেলা বৈশাখের উৎসবভাতা পাবেন তারা কেনাকাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এবার নতুন কি পোশাক-আশাক এসেছে মার্কেটগুলোতে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন নগরবাসী।এ মুহূর্তে সবার নজর পহেলা বৈশাখ ও ঈদের পোশাকের দিকে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ছুটির দিন হওয়ায় শহরের সব মার্কেট খোলা ছিলো। ক্রেতাদের ভিড়ও ছিলো অন্যদিনের চেয়ে বেশি। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে তাই মার্কেটগুলোকে ভিন্নভাবে সাজিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
শহরের কালীরবাজার ও ডিআইটির এলাকার ফেন্ডস মার্কেট, সমবায় মার্কেট, জিরো বাজার সুপার স্টোর, মার্ক টাওয়ার, টপটেন মার্ট, হক প্লাজা, সান্তনা মার্কেট, আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার, জিরো বাজার, লুৎফা টাওয়ার, পানোরামা প্লাজা, ইজি ফ্যাশন, সায়াম প্লাজা, হাসনাত স্কয়ার, সোলস্তা, আড়ৎসহ বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে গিয়ে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সূত্রমতে, গত রবিবার সরকারি চাকরিজীবীরা মার্চ মাসের বেতন পেয়ে গেছেন। যদিও এরই মধ্যে অনেক বেসররকারি ব্যাংক ও কোম্পানি তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধ করেছেন। আর আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে পহেলা বৈশাখের উৎসবভাতা পেয়ে যাবেন সরকারি- বেসরকারি চাররিজীবীরা। ফলে মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা বেড়ে গেছে।
করোনা মহামারির প্রকোপ না থাকায় প্রায় তিনবছর পর এবার প্রাণখুলে মুক্ত বাতাসে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উদযাপন করবেন সারাদেশের মানুষ। এ কারণে এবার সাধ্যমতো সবাই কেনাকাটা করবেন।
ঈদেকে সামনে রেখে দিন যতই যাবে ভিড় ততই বাড়বে। আর ভিড় এড়াতে রমজানের প্রথম দিকে ঈদের কেনাকাটা সেরে নিতে শপিংমলে আসতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। পছন্দের পোশাক বাছাই করতে নেই কোনো কমতি। পছন্দের রঙ, ডিজাইন ও উপাদানের পোশাক নিতে পরখ করে দেখে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
তবে পোশাকের মান নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের দাবি, বেশিরভাগ দোকানে খুঁজে পাচ্ছেন না ভালো মানের পোশাক। দাম নিয়েও রয়েছে অসন্তুষ্টি।
শহরে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা সাজ্জাদ হোসেন জানান, গতবারের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম অনেক বেশি। এছাড়া নতুন কালেকশন এখনও তেমন আসেনি।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি,দেশে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে পোশাকের দাম।পাশাপাশি এলসি সমস্যার কারণে ক্রেতাদের চাহিদামতো পণ্যের যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতারা।
শহরের জিরো বাজার সুপার স্টোর লিমিটেডের এমডি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, পবিত্র ঈদুল ঈদ উপলক্ষে আমরা ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই এবার ঈদের নতুন সব ডিজাইনের পোশাক উঠিয়েছি। তবে বাহিরের কাপড় গুলোর দাম একটু বেশি ডলারের কারনে।তবে পরিবহনসহ সব খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার দাম কিছুটা বাড়তি।
দামের বিষয়ে তিনি বলেন, দাম একটু বেশি। তবে পোষাকে মান অনুযায়ী দাম আমাদের ঠিক আছে। দাম ও সাধ্যের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি। ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।