স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৬ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় গ্ৰেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন তিনটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ( ৪ নভেম্বর ) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আগামী ৬ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই সমাবেশ সফল করবে বলে আশা ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন।
সভায় মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে এই অবৈধ সরকার ১৫বছরের আগের মামলায় হঠাৎ করে গ্ৰেপ্তারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে। কারন সরকার বুঝতে পেরেছে তাদের আয়ু শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা পালানোর পথ খুঁজছে। এসকল মিথ্যা মামলায় গ্ৰেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে জিয়া পরিবারের সুনামকে বিনষ্ট করা যাবেনা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে এ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
তাঁরা আরও বলেন, আগামী ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সবধরনের সহযোগিতা এবং উপস্থিতি কামনা করছি। ইনশাল্লাহ আমরা মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীদের বিশাল শোডাউন করে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করবো। এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়েই যুবদল ঘরে ফিরবে। আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা আসবে এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত যুবদলের নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়বে না। মহানগর যুবদলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, সাবেক সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ লিটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূরে এলাহী সোহাগ, সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু, আবুল হোসেন রিপন,বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, আরমান হোসেন, যুুুুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, ফয়েজ উল্লাহ সজল, নুরুজ্জামান, শামীম, কামরুল হাসান রনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ হাকিম, খান বাবু, নবী হোসেন নবু, মিনহাজুল মিঠু, জুনায়েদ মোল্লা, ইব্রাহীম, শাহজালাল কালু, ওসমান গনি, ইব্রাহিম, সিফাতুর রহমান রাজু, মিজাম, জামাল প্রধান মোক্তার হোসেন, শাহীন শরিফ, নাজমুল জোয়াদ্দার, সজিব আহমেদ, রাজু, ইব্রাহীম মোল্লা, শফিকুল ইসলাম, মানিক বেপারী, বিল্লাল হোসেন, ফরহাদ ইসলাম রছি, স্বপন, মিন্টু, লিটন, মিনহাজুল ইসলাম জনি, জহিরুল ইসলাম, তারেক সোবহান বাবু, আলমগীর হোসেন, নুরুল ইসলাম, মো. জামান, শামীম, জেকি, হাবিব, হারুন অর রশিদ, রেজাউল করিম রেজা, মোতালেব হোসেন, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বলাই মন্ডল, জহিরুল ইসলাম-২ প্রমূখ। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।