সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত । এ রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল।
এক বিবৃতিতে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দুদকের একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এসকল মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে জিয়া পরিবারের সুনামকে বিনষ্ট করা যাবেনা। সরকার ঈর্ষান্বিত হয়ে আদালতকে ব্যবহার করে তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জোবাইদা রহমানের মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও বলেন, এই অবৈধ সরকার আদালতকে বর্তমানে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। কারন সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। সরকার এখন পালানোর পথ খুঁজে। এই মিথ্যা ও সাজানো মামলার কারাদণ্ডকে বাংলাদেশের মানুষ ঘৃনা ভরে প্রত্যাখান করেছে। অবিলম্বে তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার কারাদণ্ড আদেশের প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখযোগ্য : বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুটি অভিযোগে নয় বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ২০০৪- এর ২৬ (২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে জোবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে জরিমানা ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তারেকের দুই কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রীয় অনুকূল বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে