নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত অপুষ্টি ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে ২২ জুন সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (১য় রাউন্ড) পালিত হবে। এবার সিটি করপোরেশন এলাকা ব্যতিত জেলার ৫ উপজেলায় ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৪৬ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলাজুড়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (১য় রাউন্ড) এর কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরে এক সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ জানান, এই রাউন্ডে জেলায় ৬-১১ মাস বয়সের ৩৫ হাজার ৮৯৫ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের (১ লাখ আইইউ) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং (২ লাখ আইইউ) ক্যাপসুলের স্বল্পতা থাকায় ১২-৫৯ মাস বয়সের ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫১ জন শিশুকে দুটি করে নীল রঙের (১ লাখ আইইউ) ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সিটি করপোরেশনের এলাকা ব্যতিত জেলা স্থায়ী ও অস্থায়ী ১০৫৬টি টিকাদান কেন্দ্র, অতিরিক্ত ৪৪টি এবং ভ্রাম্যামাণ ১৫টি কেন্দ্রসহ মোট ১১১৫টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, সরকারী, বেসরকারী ও বিভিন্ন সংস্থার ২২৩০ জন (প্রতি কেন্দ্রে ২ জন) স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিভাগের কর্র্মী, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরো জানান, ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা এডভোকেসি ও প্লানি সভা এবং উপজেলায় ওরিয়ন্টশন সভা করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন সফল করতে সর্বত্র মাইকে প্রচারণার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিবসটি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করছেন। জেলা তথ্য বিভাগের সচেতনতামূলক প্রচারণা অব্যহত রয়েছে। জেলার সকল মসজিদের ইমামদের জুম্মার নামাজের খুৎবাসহ অন্যান্য সময়ও এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জানানোর জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উপপরিচালককে অনুরোধ করা হয়েছে। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিরাপদ। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার কোন ঝুঁকি নেই। এব্যাপারে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
জেলা ইপিআই কর্মকর্তা মো.লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টশন সভায় ভিটামিন ‘এ’ সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ইমুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা.ফারহানা রহমান। এছাড়া অনুষ্ঠানে রহমান, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শাকির হোসেন, স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক স্বপন দেবনাথসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।