স্টাফ রিপোর্টার :
দীর্ঘ এক মাস যাবৎ ওয়াসার পানি নেই ফতুল্লার পাগলা মুন্সীবাগ ও আশপাশের এলাকায়। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। একাধিক বার ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হলেও পানির অভাব থেকে নিস্তার মিলছেনা ভূক্তভুগিদের।
ফলে এলাকার ক্ষুব্ধ বাসীন্দারা প্রতিবাদ জানিয়ে ঝাড়– মিছিল করেছন। আজ শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে মুন্সীবাগ, দৌলতপুর ও শহীদ নগর এলাকার বাসীন্দারা পাগলার মুন্সীবাগে এই ঝাড়– মিছিল করেন। পরবর্তীতে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেকের দারস্থ হয়েছেন তারা।
এলাকাবাসীর মতে, দীর্ঘ ১ মাস যাবৎ মুন্সীবাগ ও আশপাশের এলাকায় ওয়াসার পানি সাপ্লাই না হওয়ায় একাধিকবার তাদের পানি সরবরাহের জন্য তাগিদ দিলেও তারা অবহেলা করছেন। অথচ প্রতি মাসের পানির বিল ঠিকই আদায় করা হচ্ছে বাড়ী ওয়ালাদের কাছ থেকে। তাই নিরুপায় হয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেককে অভিভাবক মনে করে তার স্বরনাপন্ন হয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, কদমতলী ও আদর্শনগর তানিন ওয়াসা থেকে পানির চাহিদা পূরন করে আসছে মুন্সীবাগ ও আশপাশের এলাকার বাসীন্দারা। শুধু মুন্সীবাগেই রয়েছে ৬০০ উর্ধ্ব বসত বাড়ী। ব্যবহার ভেদে ৩শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা পর্যন্ত পানির মাসিক বিল গুনতে হচ্ছে বাড়ীওয়ালাদের। তা সত্বেও দীর্ঘ ১ মাস যাবত উভয় ওয়াসা থেকে পানি বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে, একাধিকবার বিষয়টি জানানো হলেও পানি সরবরাহ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাবাসী। উপায় না পেয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেকের বাসায় অবস্থান নেয় ভূক্তভূগিরা।
এ বিষয়ে মুন্সীবাগ সমাজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম সময় নারায়ণগঞ্জ’কে জানান, আমরা কদমতলী ও আদর্শনগর তানিন ওয়াসা থেকে পানির চাহিদা পূরন করে আসছি। প্রতিমাসে ৩শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা পর্যন্ত পানির বিল দিচ্ছি ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু দীর্ঘ ১ মাস যাবত ওয়াসা থেকে কোন পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তারা যেনে শুনেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ১০ হাজার ভোটার আজ পানির জন্য হাহাকার করছে। বর্তমান সরকার প্রায় প্রতিটি বিষয়ে উন্নয়ন করছে। কিন্তু সেই সরকারের আমলেই পানির জন্য মানুষদের হাহাকার দেখতে হচ্ছে !
তারা আরো বলেন, ওয়াসা কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণেই আজ আমাদের এই ভোগান্তি। তাই আমরা যুবলীগ নেতা আব্দুল খালেক এর স্বরনাপন্ন হলাম। আমাদের বিশ্বাস, তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের কাছে আমাদের দূর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরবেন। আর আমাদের সাংসদ শামীম ওসমান পদক্ষেপ নিয়ে এই দূর্ভোগ থেকে তার এলাকার মানুষদের স্থায়ী সমাধান করবেন। আর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এর সমাধান না হলে আমরা গোটা এলাকাবাসী মিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
এবিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেক সময় নারায়ণগঞ্জ’কে জানান, ভূক্তভুগি এলাকাবাসীরা পানির জন্য চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। ওয়াসা কর্তৃপক্ষরা সব জেনেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তারা আমার কাছে সমস্যার কথা নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি আমি আমাদের নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান ভাইকে জানাবো। ইনশা আল্লাহ, তিনিই এর স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসবেন।