নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : যত দ্রুত সম্ভব পাট থেকে তৈরি ‘সোনালি ব্যাগ’ বাজারজাতে যাবে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক।মঙ্গলবার রাজধানীর ডেমরার লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাট বাংলাদেশের মহামূল্যবান সম্পদ। এই সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সরকার থেকে যে বাজেট লাগবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সেটার ব্যবস্থা করবে। সোনালি ব্যাগ খুব দ্রুত বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে ব্র্যাডিং করবে। সেজন্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব পাট থেকে তৈরি পলিথিন ব্যাগ বাজারজাতকরণে যাবে। সরকারিভাবেই সেটা করা হবে।
এছাড়া পরবর্তীতে বেসরকারিভাবে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করার চিন্তা সরকারের রয়েছে, যোগ করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।
এসময় সোনালী ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবাবক হোসেন বলেন, এই ব্যাগ পলিথিন ব্যাগের চেয়ে দেড়গুণ বেশি শক্তিশালী। এটি পরিবেশবান্ধব। সরকারের কাছে আবেদন এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে। এজন্য বাজেট দরকার। এই ব্যাগ পচনশীল। এটিতে কোনো ধরনের প্লাস্টিক নেই। তাই পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। এটা পুনরায় ব্যবহার করা যায়, তবে পলিথিনে তা সম্ভব হয় না।
পলিথিনের বিকল্প পচনশীল সোনালি ব্যাগ তৈরির প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় ১২ মে ২০১৭। বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি)’র তত্ত্ববধানে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছে। উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগ পাইলট প্রকল্প পর্যায়ে উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান বিজেএমসি। রাজধানীর ডেমরায় অবস্থিত লতিফ বাওয়ানী জুটমিলে সোনালি ব্যাগ তৈরির প্রাথমিক পাইলট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মো. নাসিম, সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসি বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।