en
বুধবার , ১৪ নভেম্বর ২০১৮ | ২৬শে পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আর্ন্তজাতিক
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. খেলাধুলা
  8. ছবিঘর
  9. জন দুর্ভোগ
  10. জাতীয়
  11. টপ লিড
  12. বিনোদন
  13. মহানগর
  14. রাজনীতি
  15. লিড

প্রভাষক’র বহিষ্কার ও পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ
নভেম্বর ১৪, ২০১৮ ৪:১০ অপরাহ্ণ
PicsArt 11 14 09.50.07

নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:

নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক রফিকুল ইসলামের বহিস্কার ও মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মাস্টার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষাটি পুনরায় নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সরকারি তোলারাম কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় পরীক্ষার্থীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রভাষক রফিকুল ইসলামের বহিস্কার দাবি করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে নারায়নগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন শিক্ষার্থীরা ।

এ সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) ইসদাইরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মার্স্টাসের শেষ বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন আনার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম ৪০ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাপত্র আটকে রাখেন। পরীক্ষার তিন ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষাপত্র ফেরত দেন না মহিলা কলেজের ওই প্রভাষক। এক পর্যায়ে পরীক্ষাপত্র ফেরত দেয়ার অনুরোধ করলে পরীক্ষক রফিকুল ইসলাম পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন। উক্ত পরীক্ষার্থীরা নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী। পরীক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে কটুক্তি করেছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সরকারি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবীব বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী প্রভাষক রফিকুল ইসলামের সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর আমরা জাতীয় শিক্ষাবোর্ডের কাছে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সুপারিশ করবো। এছাড়া যদি অন্য কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বেলা রানী সিংহ বলেন, আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। পরীক্ষা কক্ষে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে ফোন পাওয়া গেলে পরীক্ষক পরীক্ষার্থীকে এক্সফেল করতে পারে। কিন্তু ৩ ঘন্টা খাতা আটকে রাখা কোনো নিয়মের মধ্যে পরে না। আর ফোন নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করা মানে হচ্ছে তাদের ব্যবস্থাপনাতেও ত্রুটি রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মহিলা কলেজ ও তোলারাম কলেজ পাশাপাশি দুইটি সরকারি কলেজ। আমাদের মধ্যে কোন রেষারেষি থাকার কথা না। কিন্তু এর আগের বারও মহিলা কলেজ থেকে আমাদের কলেজের বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এক্সফেল করেছে। এ রকম অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে নতুন নয়।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা নারায়ণগঞ্জ সরকারি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবীব পুনপরীক্ষা, পরীক্ষক রফিকুল ইসলামের বহিষ্কার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি উল্লেখ করে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সর্বশেষ - লিড

আপনার জন্য নির্বাচিত