en
বৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০১৯ | ২৫শে পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আর্ন্তজাতিক
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. খেলাধুলা
  8. ছবিঘর
  9. জন দুর্ভোগ
  10. জাতীয়
  11. টপ লিড
  12. বিনোদন
  13. মহানগর
  14. রাজনীতি
  15. লিড

ফতুল্লা রামারবাগের গেসু-আজমতের উত্থান যেভাবে !

প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ
মার্চ ২৮, ২০১৯ ১:৩৩ অপরাহ্ণ
PicsArt 03 28 07.18.01

নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ :

ফতুল্লার কুতুবআইল, রামারবাগ, কাঠেরপুলসহ আশেপাশের এলাকায় গিয়াসউদ্দিন ওরফে ক্যাইল্লা গেসু ও আজমত আলী বাহিনীর দাপটে ভীত এলাকাবাসী এখন অকেনটা স্বস্তিতে দিন কাটচ্ছেন।

গত ২২ মার্চ গেসু ও আজমত বাহিনীর তান্ডবের ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের পর তারা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে স্বস্তির মধ্যে আতংকিত তারা। কেননা কুতুবআইল, রামারবাগ, কাঠেরপুল এলাকায় আতংকের আরেক নাম গেসু ও আজমত।

রামারবাগ এলাকায় সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে গেসু ও আজমতের উত্থনের অজানা কাহিনী জানাগেছে। এলাকাবাসী জানায়, ১৯৯৬ সালের পূর্বে গিয়াসউদ্দিন ছিল ট্রাক চালক। ঐসময় তাকে ক্যাইল্লা গেসু বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাংসদ শামীম ওসমানের একজন ঘনিষ্ঠজনের সুদৃষ্টিতে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। এরপর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গেসুর। ভূমিদস্যুতা থেকে শুরু করে একের পর এক অপকর্ম করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আত্মগোপনে চলে যান গেসু। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে এলাকায় ফিরে তৎকালীন সাংসদ সাহারা বেগম করবী ছত্রছায়ায় শুরু করেন অপরাধ জগতের রাম রাজত্ব।

কুতুবআইল, রামারবাগ, কাঠেরপুলসহ আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রনে নেন গেসু। এরই মধ্যে তার ভাই আজমত আলীর সাথে পারাবারিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। দ্বন্দ্ব এতোটাই ছিলে যে, এক ভাই অপর ভাইকে হত্যার করার পরিস্থিত তৈরী হয়। পরবর্তিতে সাংসদ শামীম ওসমানের ঐ ঘনিষ্ঠজন দুই ভাইকে মিলিয়ে দেন। এরপর থেকে দুই জোট হয়েই ঝুট সেক্টর, জমি দখল থেকে শুরু করে এলাকায় আদিপত্য বিস্তার শুরু করে। ২০১৪ সালে পুনরায় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেও পরিবর্তন হয় স্থানীয় সাংসদের। তাই নতুন করে সাংসদ শামীম ওসমানের সুদৃষ্টি লাভে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিশাল বিশাল শো-ডাউন করেন গেসু ও তার ভাই আজমত। এবং সফলও হন তারা। এরপরই আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে গেসু ও আজমত বাহিনীর সদস্যরা। সর্বশেষ গত ২২ মার্চ গেসু ও আজমত বাহিনীর হামলায় অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, গেসু ও আজমতের ভাতিজা মমিন হোসেন মুরাদও দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বখাটে মুরাদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং, মাদক সেবন, মাদক ব্যবাসায়ীদের শেল্টার দাতাসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।

জানাগেছে, আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের কোন পদে না থকালেও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়ে গিয়াসউদ্দিন, যুবলীগ নেতা পরিচয়ে আজমত আলী ও ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে মুরাদ এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের দাপটে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতারা।

সর্বশেষ - লিড

আপনার জন্য নির্বাচিত