নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এ আসনে নাকি নাগরিক ঐক্যজোটের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন এসএম আকরাম। গিরগিটির মত এত রং বদলান তিনি ভাবাই যায়না। আবার মার্কা লাগিয়েছেন ধানের শিষ। বিগত সময়ে উপনির্বাচনে প্রেক্ষাপট এক রকম আর এখন আরেক রকম। তখন মাহজোট প্রার্থীর বিপরীতে আকরাম সাহেব স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তাই আ’লীগের ভোট পেয়েছিলেন। এখন আ’লীগের লোকজন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করা সৈনিকরা কখনো আকরামকে ভোট দিবেনা।
১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে সমরক্ষেত্রে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাটি আ’লীগের ঘাটি। এ মাটিতেই আ’লীগের জন্ম হয়েছিল। আর আ’লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কোথায় এটা সবারই জানা। অতএব আকরাম সাহেবদের একা জন্ম হয়নি এ মাটিতে। বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ তাকে নিয়ে মাতামাতি করছে অথচ নির্বাচনের পরের দিন আকরামকে খুজেই পাওয়া যাবেনা। তিনি চলে যাবেন উত্তরা ক্লাবে। ওখানে বসে তিনি মদ্যপানে ব্যস্ত থাকবেন। তাই বলছি খোচা দিবেন না। খোচা দিলে নারায়ণগঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না।
পরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী সেলিম ওসমানও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেণ।
বন্দর থানা আ’লীগের সভাপতি এমএ রশিদের সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আ’লীগের সভাপতি আব্দুল হাই,সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল,মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.খোকন সাহা,জেলা আ’লীগ সদস্য আনিসুর রহমান দিপু,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাপা সভাপতি আবুল জাহের,নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি যুদ্ধকালীণ কমান্ডার গোপীনাথ দাস,ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সনারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি চন্দনশীল প্রমূখ।
অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহনিজাম,সাংগঠনিক সম্পাদক,জাকিরুল আলম হেলাল,জিএম আরাফাত,মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি জুয়েল হোসেন,মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল হক নিপু, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমূথ।