নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
বন্দরের দক্ষিন কলাবাগ এলাকায় তিন নারীকে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের মূল আসামী ইউসুফ মেম্বারকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত ।
মঙ্গলবার ( ১৯ ফেব্রুয়ারি ) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) এর নির্দেশক্রমে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব রফিকুল ইসলাম ইউসুফ মেম্বারকে গ্রেফতার করেন।
প্রসঙ্গত, ১৬ ফেব্রুয়ারি ধারের টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগান এলকার খালপারের মৃত মফিজ উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা বেগম ওরফে ফতেহ (৫০), তাঁর দুঃসম্পর্কের খালাতো বোন আসমা বেগম (৩৫) এবং বুরুন্দি এলাকার বকুল মিয়ার স্ত্রী বানু বেগমকে (৩০) চেনেননা ফাতেমা বেগকে মিথ্যা যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে তিন নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় তিন নারীর উপর নির্যতন চালানো হয়। ওই তিন নারীকে ঘর থেকে বের করে টেনে হিচড়ে গাছের সাথে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ইউসুফ মেম্বারের নেতৃত্বে এলাকার কথিত বিচারকরা।
কেবল মারধরই নয় জোর করে ওই নারীদের মাথার চুলও কেটে দেয়া হয়। এরপর ওই অবস্থায় কয়েক ঘন্টা গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয় তাদের। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও নির্যতানকারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার কমিশনের মধ্যস্থতায় সন্ধ্যায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার ফাতেমা বেগম ওরফে ফতেহ।