নিউজ ডেস্ক:
বছর ঘুরে আবার এলো বিজয়ের মাস। আজ ১ ডিসেম্বর। বাঙালির কাঙ্খিত মুক্তি সংগ্রামের বিজয় অর্জনের মাস ডিসেম্বর। এই মাস আমাদের রাষ্ট্র পাওয়ার মাস, বিজয় লাভের মাস। পূর্তি হলো স্বাধীনতার ৪৭ বছর।
ডিসেম্বর বাঙালি জাতির একটি নিজস্ব রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাস। আবার ৩০ লাখ মানুষ হারানোর দুঃসহ কষ্টের মাস। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াকু বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ এ মাসে বিজয়ের সুমহান মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছিল। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক যে রাষ্ট্রের যাত্রা শুরু করেছিল, আজ তা বিশ্বের কাছে এক অপার বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল।
তবে এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এসেছে বিজয়ের মাস। এ মাসের একেবারে শেষভাগে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের বিজয়ের মাস জুড়ে থাকবে নির্বাচনী ডামাঢোলও। এবার নতুন ভাবনা স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার শপথ নিয়েই বাঙালি জাতি মাসব্যাপী উদযাপন করবে বিজয়ের মাস।
একাত্তরে এ মাসের প্রথম দিন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক বিভিন্ন জেলায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে পরাজিত করে অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে আসতে থাকেন রাজধানীর দিকে। এর পর ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।
লাখো শহীদের আত্মদান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী অবদান, ত্যাগ এবং অসংখ্য মা-বোনের মহামূল্যবান সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ নিজের স্থায়ী আসন অর্জন করে নেয় বিশ্বমানচিত্রে। তাই কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি এই ডিসেম্বর মাসজুড়ে স্মরণ করবে লাখো শহীদানকে। তাদের অপূর্ণ স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা বাস্তবায়নের শপথে নতুন করে উজ্জীবিত হবে।
মহান বিজয়ের মাস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন দল ও সংগঠন নিয়েছে মাসব্যাপী কর্মসূচি। রাত ১২টা ১ মিনিটে বিভিন্ন সংগঠন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন এবং ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করে।