নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে ফতুল্লায় আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতারা চাঙ্গা হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। অনেকেই স্বপ্নে বিভোর আছে নতুন নেতৃত্ব পাবে। বর্তমানে ফতুল্লা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী। মাঠ পর্যায়ের নেতারাও পুনরায় বাদল ও শওকতকেই চাচ্ছেন।
এব্যাপারে কাশীপুর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহীন আলম জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভপতি সাইফ উল্লাহ্ বাদল ও এম শওকত আলী তারা শুধু থানা আওয়ামীলীগের নেতা নন, তারা হচ্ছে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অভিভাবক। তারা যে কোন কর্মীর বিপদে যেখানে বাবার শাসন দরকার, যেখানে বড় ভাইয়ের নিদের্শনা দরকার তারা ঠিক ঐ রকমই নির্দেশনা দিয়ে থাকে এবং আমি মনে করি বাদল ভাই ও শওকত ভাই ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগকে যেভাবে আগলে রেখেছেন আমার মনে হয় সারা বাংলাদেশে প্রতিটি থানায় তাদের মত নেতা দরকার। সাড়া বাংলাদেশে প্রতিটি থানায় তাদের মত নেতারা নেতৃত্ব দিলে দলের মধ্যে কোন প্রকার দ্বন্দ্ব থাকতো না।
আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তারা দুইজন আইনক তাদের মত নেতা যদি থাকে তাহলে ঐ থানা আওয়ামীলীগে বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক তৈরী হবে এবং মুজিবীয় আদর্শ বুকে ধারণ করবে। তাই বাদল ভাই এবং শওকত ভাইয়ের বিকল্প ফতুল্লা থানায় তৈরী হয় নাই এবং অদূর ভবিষ্যতেও হবে না। তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, মেধা ও দিক নির্দেশনা অনেক বড় নেতার চাইতেও কার্যকরী। শাহীন আলম আরো বলেন, জোট সরকারের সময় আমরা যখন বাদল ভাই ও শওকত ভাইয়ের নির্দেশে ঢাকা কেন্দ্রীয় কর্ম সূচীতে অংশগ্রহণ করতাম এবং কর্মসূচী শেষে প্রতিটি কর্মী যখন বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত বাদল ভাই কখনো নিজ বাড়িতে যায় নি। সেই স্মৃতি এখনো প্রতিটি নেতা কর্মদের হৃদয়ে স্থান করে আছে।
আমাদের প্রাণপ্রিয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমান যখন প্রবাস জীবন যাপন করেন তখন ফোনের মাধ্যমে প্রতিটি নেতা কর্মীকে উজ্জিবীত রেখেছেন বাদল ভাই ও শওকত ভাই। কখনো কুতুবপুর কখনো বক্তাবলী কখনো এনায়েত নগর এবং কখনো ফতুল্লা ইউনিয়নে। প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে সংগঠন ঘুছিয়েছেন। তাই আমরা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে বাদল ভাই ও শওকত ভাইকে আবারও দেখতে চাই।