এসেছিলেন কোচ হিসেবে, এক পর্যায়ে প্রেমে পড়ে যান ভারতের হরিয়ানার বিলাসপুর এলাকার তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় সরিতার। তাই একদিন হঠাৎ করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন। গত মঙ্গলবারের এই ঘটনার সময় সেই প্রস্তাবে সঙ্গে সঙ্গে ‘না’ করে দেন ওই তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড়। প্রত্যাখ্যানের যন্ত্রণায় দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ২৫ বছর বয়সী ওই যুবতীকে গুলি করে দেন কোচ! হাসপাতালে নিয়ে গেলে সরিতাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অভিযুক্ত কোচের নাম সোমবীর সিং। এই ঘটনার কয়েকদিন আগে তিনি সরিতার কোচের চাকরি থেকে সরে দাঁড়ান। সরিতা তায়কোয়ান্দোতে নিজের জেলার হয়ে ৬ বার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সম্প্রতি ফিজিক্যাল এডুকেশনে ডিপ্লোমা শেষ করে, চাকরির সন্ধানে ছিলেন। গত মঙ্গলবার জেলা পর্যায়ের তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় সরিতার বাড়ি বয়ে এসে ফের বিয়ের প্রস্তাব দেন ওই কোচ। তা প্রত্যাখ্যান করায়, আচমকা গুলি চালিয়ে দেন সোমবীর। এই ঘটনা ঘটাতেই একটি দেশি পিস্তল জোগাড় করেছিল সে।
নিহত ওই খেলোয়াড়ের ভাই জানান, ওই প্রশিক্ষক দীর্ঘসময় ধরে সরিতার পিছনে পড়েছিল। নানাভাবে নানা সময় তাকে উত্ত্যক্ত করত। সরিতা এর আগে একবার থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিল। কিন্তু এতেও সোমবীরের স্বভাব বদলায়নি। জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে সোমবীরের কোনো সম্পর্ক নেই। যে কারণে বিগত কয়েক মাস ধরে বাড়িতেও যাননি তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি ঘটনার পর থেকেই পলাতক সোমবীর সিংকে।