ইন্দোর টেস্টে নিশ্চিত পরাজয়ের পথে আছে বাংলাদেশ। অলৌকিক কিছু না হলে ইনিংস পরাজয় মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। আজ তৃতীয় দিনেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ধারাবাহিকভাবে বাজে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ইতিমধ্যেই ৭২ রানে ৫ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন। বাকী দুই সেশন ব্যাটসম্যানরা টিকতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। টাইগারদের এই অসহায় আত্মসমর্পণ কীভাবে দেখছে ভারতীয় মিডিয়া?
মহানগর শিরোনাম করেছে, ‘লাঞ্চেই লাঞ্ছিত বাংলাদেশ!’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশি টেস্ট দলকে নিয়ে ভারতের পেসারদের ছেলেখেলাটা দ্বিতীয় ইনিংসেও অব্যাহত। শামি, উমেশ, ইশান্ত ত্রয়ীর আগুনে স্পেলে তৃতীয় দিন লাঞ্চেই লাঞ্ছিত বাংলাদেশী ব্যাটিং লাইন আপ। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতেই সাজঘরে প্রায় অর্ধেক বাংলাদেশ শিবির।’
গতকাল কলকাতার শীর্ষ দৈনিক আনন্দবাজার শিরোনাম করেছিল, ‘দুরন্ত শামিদের গতির বাণে বিদ্ধ বাংলাদেশ ব্যাটিং! প্রথম দিনে দেড়শো রানে অল-আউট। আনন্দবাজর লিখেছে, ‘শিশু দিবসে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে শিশুর মতোই দেখিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের। প্রত্যেক পদক্ষেপেই অনভিজ্ঞতার প্রভাব স্পষ্ট। মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা ও আর অশ্বিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ, লিটন দাসেরা।’
সংবাদ প্রতিদিন হেডিং করেছে, ‘ব্যাটিং বিক্রমে ম্যাচের রাশ ভারতের, নিখোঁজ বাংলা টাইগার্স’। তারা ভেতরে লিখেছে, ‘ইন্দোরের পিচ রানে ভরা। সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ধরাশায়ী হয়েছিলেন ভারতের পেস আক্রমনের সামনে। বাংলাদেশের সেই বোলিং আক্রমণ নেই। সাকিব না থাকায় স্পিন বিভাগও নড়বড়ে। আর কী চাই?’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের শিরোনাম, ‘মায়াঙ্কের ব্যাটে রানের চূড়োয় ভারত, লাঞ্ছিত বাংলাদেশ!’ ২৪ ঘণ্টা হেডিং করেছে, ‘বাংলাদেশকে ‘কাগুজে বাঘ’ করে ছাড়ল কোহলির ভারত, হারের মুখে মুশফিকুররা।’ তারা লিখেছে, ‘ইনিংস হারের শঙ্কা নিয়ে লড়ছে বাংলাদেশ। জাঁকিয়ে বসেছেন ভারতীয় বোলাররা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও মেহম্মদ শামিকে খেলতে গিয়ে হিমশিম খেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের দুই ভরসার মুখ এখন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। এই দুজনের হাতেই এখন বাংলাদেশের ভাগ্য ঝুলছে।’