en
মঙ্গলবার , ২৫ জানুয়ারি ২০২২ | ১৬ই মাঘ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আর্ন্তজাতিক
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. খেলাধুলা
  8. ছবিঘর
  9. জন দুর্ভোগ
  10. জাতীয়
  11. টপ লিড
  12. বিনোদন
  13. মহানগর
  14. রাজনীতি
  15. লিড

মামুনুল হকের ধর্ষণ মামলা, যুবলীগ নেতাসহ ৩ জনের সাক্ষ্য প্রদান

প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ
জানুয়ারি ২৫, ২০২২ ৫:৩৬ অপরাহ্ণ
PicsArt 01 25 11.34.45

নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন যুবলীগ নেতাসহ তিনজন।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষ্যদাতারা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, রিসোর্টের আনসার গার্ড ইসমাঈল, রিশিপশন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা সবাই মামুনুল হক ধর্ষণ কাজে জড়িত বলে জানিয়েছেন।

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, সাক্ষ্যদাতাদের সাক্ষীতেই প্রমাণিত হয় এই ঘটনা সাজানো ছিল। পরিকল্পিতভাবে এটি ঘটানো হয়েছে।

এর আগে সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। পরে দুপুর ২টায় আবার তাকে কঠোর নিরাপত্তায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। সকাল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সাথে ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় মামুনুলের বিরুদ্ধে রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ, রিসিপশন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম অনিক ও আনসার গার্ড রতন বড়াল সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে কথিত স্ত্রী পরিচয়ে ঝর্ণা নামে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

সর্বশেষ - লিড