নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও কিন্তু আওয়ামী লীগের দোষরা কিন্তু এখনো আড়াইহাজারের মাটিতে রয়েছে। তারা এখন মিডিয়াকে ব্যবহার করে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সুতরাং নেতাকর্মীদেরকে সাবধান হতে হবে। আমাদেরকে ব্যবহার করে কিন্তু তারা এখন নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টা করছে। আমাদের দলে অনুপ্রবেশকারীদের কোন ঠাঁই নেই। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশলাইক তারেক রহমানের সব কথা কোন অনুপ্রবেশকারীকে দলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ তাদেরকে প্রশ্রয় দেন তাহলে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় আড়াইহাজার উপজেলাধীন হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দোয়া ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার ( ৫ সেপ্টেম্বর ) বাদ আছর আড়াইহাজার উপজেলাধীন হাইজাদী ইউনিয়নের সিংহদী বাজার সংলগ্ন এম এ মোতালেব ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজাদ বলেন, প্রিয় আড়াইহাজারবাসী আপনারা কেমন আছেন। হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশস্বাধীন বাংলাদেশ আপনাদের কেমন লাগছে। স্বৈরাচার এবং হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ আপনাদের সবাই তো ভালো লাগছে। হাসিনা কোথায় পালাইছে। পালাইছে রে পলাইছে খুনি হাসিনা পলাইছে। হই হই রই রই খুনি আসি না গেল কই। যাদের দলের নেত্রীর লজ্জা শরম নাই তাদের নেতাকর্মীদের আবার কি থাকবে। ছিঃ ছিঃ হাসিনা লজ্জায় বাচিনা। শেখ হাসিনার দিন শেষ তারেক জিয়ার বাংলাদেশ। আচ্ছা আড়াইহাজারের এই এলাকায় আওয়ামী লীগের একটা কুলাঙ্গার ছিল না আপনারা বলেন। তার নামটা যেন কি ভাই নজরুল ইসলাম বাবু। আজকে বাবু কোথায় অনেক বড় বড় কথা বলেছে তাই না। এখন কোথায় পলাইছে লজ্জা শরম বলতে কিছু আছে।
আজাদ আরও বলেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও কারো প্রতিষ্ঠানে তালা মারা যাবে না। আর কোন অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ঘুরাফেরা যাবে না। যদি এগুলা করেন তাহলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। আমরা রাজপথে আছি যতদিন পর্যন্ত না এই খুনি হাসিনার বিচার হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো ইনশাল্লাহ।
এসময়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা এবং ছাত্র – জনতার আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিব আহম্মেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম লাভলু, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, আড়াইহাজার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন সাকিব, আড়াইহাজার উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোবারক হোসাইন।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাইজাদী ইউনিয়ন বিএনপির সহ- সভাপতি এড. মামুন মাহমুদ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রুমি, কেন্দ্রীয় ওলামদলের সদস্য মাসুম বিল্লাহ, হাইজাদী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি অলি আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাশিকুর রহমান খান সোহাগ, জেলা যুবদলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লিটন শিকদার, হাইজাদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোবারক হোসেন, সদস্য সচিব আব্দুল মতিন, সরকারি সফর আলী কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর সানি, হাইজাদী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. আশরাফুলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।