দেশের সুখী দম্পতি হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তাহসান মিথিলা। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট ভালোবেসে তাহসানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিথিলা। আইরা তেহরীম খান তাহসান-মিথিলা দম্পতির একমাত্র সন্তান। এরপর দুজনের বনিবনা না হওয়ায় ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
এরমধ্যে মিথিলার সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়ে গণমাধ্যমে একাধিক খবর এসেছে। সম্প্রতি ইফতেখার আহমেদ ফাহমির সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। তবে এই দুই বছরের অধিক সময়ে তাহসানের সম্পর্কে জড়ানোর কোনো খবর আসেনি কোথাও। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার সমসাময়িক এই বিষয় যখন চলমান তখন মুখ খুললেন তাহসান। বললেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের নিয়ে।
তাহসান চলতি বছরের অক্টোবরে একটি কবিতা ভিডিও করে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। ইতিবাচক মনোভাবী হওয়ার বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রয়েছে। কবিতার শেষে তাহসান সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ইতিবাচক মনোভাবী হওয়ার আহবান জানান। এখমন ফেসবুক খুললেই নেতিবাচক খবর। এইসব নেতিবাচক খবর প্রতিনিয়ত আমাদের কলুষিত করে চলেছে। এজন্য নিজ দায়িত্ববোধ থেকে কথাগুলো তিনি বলেছেন, এমকনটাই ভিডিও তে দাবি করেন তাহসান।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার দিনভর মিথিলার ব্যক্তিগত ছবিতে যখন সয়লাব, ঠিক সেই সময়টায় এই কবিতা শেয়ার করেন তাহসান। সেখানে লিখেন, ‘যেদিন দেশের সিংহভাগ মানুষ বুঝবে, সেদিন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যাবে। ততদিনে হয়তো আমার মেয়েটা বড় হয়ে যাবে| কি নিয়ে কথা বলবো আর কি এড়িয়ে যাব, তা বোঝার মেধা ও মনন আমাদের তৈরি হোক।’
অর্থাৎ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই, সমাজের মানুষের জন্যই, কিছু বৃহত্তর স্বার্থে অনেক নেতিবাচক খবরই এড়িয়ে যেতে হয়। এমনটা তাহসানের বক্তব্যের সারমর্ম দাঁড়ায়।