‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ ছবির প্রচার চালাতে কলকাতায় গিয়েছিলেন হিমেশ রেশমিয়া। আর সেখানে রানুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। হিমেশ বলেন, ‘রানুদি’র টানেই কলকাতায় ছুটে এসেছি।
লতা মঙ্গেশকরের মতো গলা খুঁজছিলেন তিনি। তবে অনেকেই তাকে বলেছেন, ওই রকম কণ্ঠ পাওয়া সত্যিই দুর্লভ। তিনি বলেন, এমন সময় একটি রিয়েলিটি শোয়ে তিনি রানুর গলা শোনেন। তখনই তিনি ঠিক করেন নতুন ছবির গান রানুকে দিয়েই গাওয়াবেন।
হিমেশ আরও বলেন, ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ বা ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ গানগুলোর আগে লতা মঙ্গেশকর যেভাবে আলাপ গেয়েছিলেন, তেমন আলাপ তার গানেও থাকুক। তাই রানু মণ্ডলের গলা শুনে আর দোটানায় থাকেননি তিনি। স্টুডিওতে ডেকে নেন তাকে।
প্রথমবার মাইক্রোফোনের সামনে রেকর্ডিং করতে দাঁড়িয়েছিলেন। স্বভাবতই বেশ নার্ভাস ছিলেন তিনি। হেডফোন নিয়েও সমস্যা হয়েছিল। এ ছাড়া গাওয়ার আগে রানু যে গানটি বারবার শুনেছিলেন, তা নয়। তাই গান গাওয়ার ক্ষেত্রেও বারবার ত্রুটি হচ্ছিল তার। কিন্তু ক্রমে সেসব কাটিয়ে ওঠেন রানু।
প্রথম গানটি গাওয়ার সময় রানুকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে রেকর্ড করা হয়েছিল ‘তেরি মেরি’ গানটি। কিন্তু তার পর আর কোনো সমস্যা হয়নি। বাকি তিনটি গান রানু অনায়াসেই গেয়েছিলেন।