নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে মুক্তিযোদ্ধারাও সম্মানের সাথে থাকবেন। আর তিনি না থাকলে মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চিত হবেন। শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের ২টি আসন জাতীয় পার্টিকে দিয়েছেন। তাই এই ২ প্রার্থী শেখ হাসিনার প্রার্থী। শেখ হাসিনার মার্কা নৌকা ও লাঙল।’ ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী এসব কথা বলেন।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, আমার মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই আসনে মহাজোটের মনোনয়ন দেয়ায় আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি গত ৫ বছর সোনারগাঁয়ের মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ সহ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সাথে নিয়ে কাজ করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের আমি পিতার ন্যায় সম্মান করি। আপনারা আমার কাছে যখন যা দাবি করেছেন, আমি সন্তান হিসেবে তা পূরণ করার চেষ্টা করেছি। এরপরেও আমার অজান্তে কেউ যদি আমার দ্বারা কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে সন্তান হিসেবে আমাকে ক্ষমা করবেন।
সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের নেতা হলেন শেখ হাসিনা। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আমি সহ অনেকেই নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু শেখ হাসিনা কাউকেই দেননি। মহাজোটের কারনে লিয়াকত হোসেন খোকাকে তিনি সিলেক্ট করেছেন। কাজেই এই আসনে শেখ হাসিনার মার্কা হলো লাঙল। আমরা সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধারা লাঙলের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশ না মেনে যারা বলে বেড়ায় যে তারা সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের অস্থিত্ব রক্ষা করছে’ এটা ভুল কথা। সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে নৌকা ভাঙ্গার ইতিহাস তারাই গড়েছে। এজন্য তারা বহিস্কারও হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, নৌকার মনোনয়নের ব্যাপারে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সরাসরি কথা বলেছি। তিনি আমাকে তার নির্দেশ মেনে কাজ করার হুকুম দিয়েছেন এবং এর পুরস্কার আমাকে দিবেন বলে ওয়াদা করেছেন। কাজেই শেখ হাসিনার চেহারাই আমার মার্কা। তিনি যাকে মনোনীত করেছেন আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনীর সঞ্চালনায় এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সামিউল্লাহ মিলন, জেলা কমান্ডের সদ্য সাবেক ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা, বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক সহকারি কমান্ডার আইয়ুব আলী সহ জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতৃবৃন্দ।
এসময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করবো।
তারা আরো বলেন, শেখ হাসিনা সোনারগাঁয়ে মহাজোটের পক্ষ থেকে লিয়াকত হোসেন খোকাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই আমরা লিয়াকত হোসেন খোকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।