নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামানা করে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদের উদ্যোগে বন্দরে বিভিন্ন মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ( ১৭ মে ) বাদজুম্মা বন্দর ১নং খেয়াঘাট সংলগ্ন বেবীস্ট্যান্ড গাউসুল আজম জামে মসজিদ ও লেজারার্স আবাসিক এলাকা জামে মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় খান মাসুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা পরাজিত শক্তি ও দেশি-বিদেশি ঘাতকচক্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করে।
সেদিন ভাগ্যগুণে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা সেসময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দেশে ফিরতে দেয়নি। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে ভারত থেকে দেশে ফেরেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরুহয় আরেক সংগ্রামী জীবন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। বহুবার তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা হয়। সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে সেই হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মী সেদিন শহীদ হন।
খান মাসুদ আরও বলেন, আমার নেত্রী কখনই তাঁর নিজের জীবনের চিন্তা করেনি তিনি জাতির জনকবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার সুফল আজ দেশবাসি পেতে শুরু করেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে এদেশ বিশ্বের কাছে আরও উঁচুস্থানে এগিয়ে যাবে। পরিশেষে মসজিদে উপস্থিত সকল মুসুল্লিদের কাছে শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া চেয়েছেন খান মাসুদ। এসময় দোয়ায় অংশগ্রহণ করে, বন্দর থানা যুবলীগ
নেতা মোঃ মাসুম, যুবলীগ নেতা মোঃ শেখ মমিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।