নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা কারও জীবন নিতে চাই না৷ কাউকে আঘাত করতে চাই না। আমরা চাই শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থার অবসান হোক। একটি নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সেখানে দেশের জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনিই সরকার গঠন করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি কাউকে ভয় করি না এবং মৃত্যুকে ভয় করেন না৷ কিন্তু উনি ( প্রধানমন্ত্রী ) সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে শহরের খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালের সামনে মহানগর বিএনপির পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আজকে উনি ( প্রধানমন্ত্রী ) নাইকো মামলার শুরু করেছে। এই নাইকো মামলার প্রধান আসামি ছিলেন (প্রধানমন্ত্রী) নিজেই। উনি রাষ্ট্রক্ষমতা জোরে উনার নাম বাদ দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ কয়েক জনের নাম দিয়ে বিচার করছে। শেখ হাসিনার হিংসা পরানের বিচার। আজকে উনি এই মামলা নেই কেন উনি আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে। উনি পুলিশ র্যাব নিয়ন্ত্রণ করেন। উনাকে সবাই ভয় পায়। আজকে এ জবর দখল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন৷ আমাদের এই জবর দখল সরকারকে আগে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। আমরা সাচ্চা কর্মী বিপ্লবী কর্মী। ওরা পুলিশ সাথে নিয়ে হামলা করে। আমাদের হাতে তো অস্ত্র নেই। আমরা খালি হাতে আন্দোলন করি। তাহলে কিন্তু আমরাই সাহসী।
তিনি আরও বলেন, আজ সারাদেশে পদযাত্রা হচ্ছে। আপনাদের ভাইয়েরা গুলিবিদ্ধ হচ্ছে। হাত-পা হারাচ্ছে। আর আপনারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। কেন করছেন। আমাদের ওপর দুর্যোগ আসছে৷ লাখ লাখ মামলা। হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। আর আপনারা এখানে মারামারি করছেন। প্লীজ লোক হাসাবেন না৷ আপনারা সবাই যুবদল ছাত্রদল করেন বিএনপি করেন। পুলিশের গুলি ধারণ করে আপনাদের ভাই মারা যাচ্ছে না। শাওন মারা গেছে, সে কী চুরি ডাকাতি করেছিল। পুলিশ ঠান্ডা মাথায় গুলি করে তাকে হত্যা করেছে। আমাদের মধ্যে কোন হিংসা পড়ানো নেই। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরে আনবা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আনবো। এটি হলো আমাদের অঙ্গীকার।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (ঢাকা বিভাগীয় ) সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান দুলাল, হাবিবুর রহমান মিঠু,শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম, চঞ্চল মাহমুদ, নজরুল ইসলাম সরদার, সদস্য আবুল হোসেন রিপন, বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, ইকবাল হোসেন, নাছির উল্লাহ্ টিপু, বিএনপি নেতা হারুন উর রশিদ লিটন, মহি উদ্দিন শিশির, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া,বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সহ – সমন্বয়ক সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।