সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ তথা দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
এক বার্তায় নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, “৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিল। যে জাতীয়-আন্তর্জাতিক কারণে ৩ নভেম্বরে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল, সেই চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক সিপাহী এবং জনগণ ৭ নভেম্বরে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতাকে সুসংহত করেন। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের যে পথ, সেই পথের নতুন সুচনা করেন । সেই সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর থেকেই এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল এবং তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান।
নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, এই দিনটি বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে দেশ একইভাবে ১৯৭৫ এর পূর্বে যে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, জনগণের অধিকারকে হরণ করা হয়েছিল। আজকে আবার ঠিক একই কায়দায় বাংলাদেশের জনগণের অধিকারকে হরণ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
দেশনেত্রীর মুক্তির মাধ্যমেই গণতন্ত্রের মুক্তির পথ অবারিত হবে। ভোটারবিহীন সরকারের নতজানু নীতির কারণেই আমাদের আবহমানকালের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর চলছে বাধাহীন আগ্রাসন। তাই আমি মনে করি ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে পূণরুজ্জীবিত করা এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মূহুর্তে অত্যন্ত জরুরী। আমি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নারায়ণগঞ্জবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।