নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর ঘর মসজিদে বিস্ফোরণ কোনো নরমাল ঘটনা মনে হচ্ছে না। ঘটনাটি নাশকতা না—তাও বলা যাবে না।’
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় শামীম ওসমান মসজিদটি পরিদর্শন যান। এ সময় তিনি মসজিদের ভিতরে ঘুরে দেখেন।
সাংসদ শামীম ওসমান ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় দলীয় কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের বিষয়টি অস্বাভাবিক উল্লেখ করে মসজিদের এ বিস্ফোরণকেও সে রকমই হতে পারে বলে ধারণা করেন। এ কারণে ঘটনার তদন্তের বিষয়ে সরকারকে অধিক মনোযোগী এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তদন্তের আহ্বান জানান।
শামীম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নাই। এটা ছোট কোন জিনিস না। শুধু গ্যাসের কারণেই এত বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে এটা বলে পার পাওয়া যাবে না। কারণ এর আগেও আমাদের উপরে ১৬ জুন বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সে কারণেই আমি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি কোন এক্সপার্ট না। আমি সে কারণেই এক্সপার্টদের দিয়ে তদন্তের কথা বলছি। এটা এসির বিস্ফোরণ কিনা সেটাও তদন্ত করা উচিত। তবে সচরাচর এসির গ্যাস সিলিন্ডার থাকে বাইরে। সেটা ভেতরে বিস্ফোরণের কথা না। তাছাড়া গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে। যদি এতই গ্যাসের রিজার্ভ থাকতো তাহলে সেটা তো মাগরিবের সময়ে কিংবা এশার আগে দরজা খোলার কারণে বের হয়ে যেত।
শামীম ওসমান বলেন, দয়া করে এ ঘটনায় কোন পারসেপশন তৈরি করবেন না। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন জরুরি।
নিহত সবার জন্য দোয়া চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধ সবাইকে ভালো চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সময় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন শামীম ওসমান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় ওই মসজিদে একসঙ্গে ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হয়ে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি অগ্নিদগ্ধ হন। ইতোমধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদের মুয়াজ্জিন, স্কুলছাত্র সহ ১৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে।