নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু বলেন, দেশের বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই এটা সম্পূর্ণভাবে বর্তমান সরকারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, ৭১ সালে এই গণতন্ত্রের জন্য মানুষ যুদ্ধ করেছিলো। আজ আমরা গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য কথা বলতে গেলেই পুলিশ বাহিনী দিয়ে হয়রানী আর মামলা দিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। শুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন একতরফা নির্বাচন এদেশের জনগণ আর মেনে নিবে না। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন এদেশে হতে দিবো না।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায়ের প্রতিবাদ ব্যানারে অনশন কর্মসূচি পালন কালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালিবাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিএনপি নেতা এড. রফিক আহম্মেদ, হাজী ফারুক হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এ সময় মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিকভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো হয়েছে এটা সম্পুর্ন্য উদ্দেশ্যমূলক। সরকার খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কারন বিএনপি নির্বাচনে গেলে সরকারের অস্থিত্ব থাকবে না। বিএনপি ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের জন্য পথের কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করে নিজেদের ইচ্ছা রায়ের মাধ্যমে প্রকাশ করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই খালেদা জিয়া ও বিরোধী দল ছাড়া আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, এদেশের মানুষ হতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে দাড়াতে পারছি না পুলিমকে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুতুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। কোন লাভ হবে না জিয়ার সৈনিকরা কখনই অন্যায় অত্যাচারের কাছে মাথা নত করে না তার প্রমান ইতিমধ্যে আপনারা পেয়েছে। আপনারা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচারের শেষ সীমানায় পৌছে গেছেন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা নত করাতে পারেনি। ক্ষমতার দম্ভ চিরদিন থাকে না, এটা অনেকেই সময় থাকতে বুঝে না। অন্যের উপর ভর করে কেউ বেশী দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি ভবিষ্যত্বেও পারবে না। অবৈধ সরকারের প্রতি আহবান করবো ক্ষমতার লিপসা ছেড়ে জনগনের পক্ষে কাজ করুন।
অচিরেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বধায়ক সরকারের অধিনে শুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। নতুবা জনগনের কাঠগড়ায় এর চড়া মূল্য দিতে হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, দলের এই ক্লান্তিলগ্নেও একটা নেতাকর্মী পিছ পা হয়নি। আমাদের এই কর্মসূচিতে অনেক নেতাই অংশগ্রহন করেছে যাদের আজকে সরকারের দেয়া মিথ্যা মামলার হাজিরা আছে। তাদের অনেকেই এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে একাতত্ত্বা প্রকাশ করে কোর্টে হাজিরা দিতে গেছেন এবং বলেছেন কাজ শেষ করে যত শীগ্রই সম্ভব কর্মসূচিতে এসে আবারও যোগদান করবেন। এতেই প্রমান করে জিয়ার সৈনিকরা অন্যায়ের কাছে কখনই মাথা নত করে না।
বক্তব্য শেষে সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা কর্মসূচির সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনুকে পানি পান করিয়ে অনশন কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন, মহানগর বিএনপি নেতা এড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, আব্দুর রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, নজরুল ইসলাম সরদার, মাহমুদুর রহমান মাসুম, হারুন শেখ, সাইফুল ইসলাম বাবু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, নাজমুল হক রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, খোকন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।