নারায়ণগঞ্জের কন্ঠ: নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, মনে করেছিলাম রাজনীতি থেকে বিদায় নেব। কিন্তু বিদায় নিবো না। ৭১ এর চেতনা নিয়ে আগের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আবার মাঠে নামবো। এখন যে খেলা শুরু হয়েছে তা শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে নতুন খেলা শুরু হয়েছে।
আলেম সমাজের শতকরা ১০ ভাগও তাদের সাথে নেই। ৫০ বছর পর হটাত করে ভাস্কর্যের কথা মনে পড়লো কেন? ‘আল্লামা শফি সাহেবকে যেভাবে অপমান করেছেন। তার পরিবার দাবি করেছে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তারা ভাবছে তারা অনেক শক্তিশালী।
তারা প্রধান খেলোয়াড় না, তাদেরকে সামনে রাখা হবে। নারায়ণগঞ্জে তাদের খুব আনাগোনা, প্রায়ই আসে। হয়তো আমার বাসায় যায়, নয়তো আমার কাছের কারো বাসায় যায়। নতুন নতুন মির্জাফর তৈরীর চেষ্টা করে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা মাঠে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা বিগত সময়ে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলেছেন, শেখ হাসিনার আদেশ অকাতরে পালন করেছেন, রাজপথে জীবন দিয়েছেন তারা এখন অনেক কষ্টে আছেন। ধাক্কাধাক্কি করেও সামনে আসতে পারেন না।
তিনি আরো বলেন, ৪৯ জন ভাইকে আমরা হাত দিয়ে দাফন করেছি। অপরাধ একটাই আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতাম। অপরাধ আমরা স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কথা বলতাম। আমার নেতাকর্মীরা বাড়িঘরে থাকতে পারেনি।
ঘরে ডুকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা তো কিছুই করিনি। গোলাম আযমকে নারায়ণগঞ্জে নিষেধ করায় হামলা হলো। এখনো চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে হয়। অনেকেই পঙ্গু হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন।
শামীম ওসমান বলেন, ভাস্কর্য ভাংবেন? আসেন সব ছেড়ে একজন সাধারণ মানুষ হয়ে মাঠে থাকবো দেখি কার কত জোর। আমাদেরকে আপনারা ইসলাম বুঝান, আমরা কি বুঝিনা। ২২ বছর ধরে তাহাজ্জুদ পড়ি। কারো কাছে হিসাব দিতে হবে আমার? হিসাব দেব আল্লাহর কাছে।
তিনি বলেন, বিদায় নেবনা বিদায় দেব। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলো? ওদের কপাল ভালো যে আমরা শান্ত হয়ে গেছি। আমরা আল্লাহর উপর এবং জনগনের উপর বিশ্বাস করি। প্রশাসনকে আমরা সাহায্য করবো কিন্তু তাদের সাহায্যে আমরা চলবোনা, অন্তত নারায়ণগঞ্জে না।
৪২/৪৫ জনের টিম হয়। এদের মধ্যে কেউ কেউ নারায়ণগঞ্জে আসেন। কোন আইনজীবীর চেম্বার থেকে টানা ডিস্ট্রিবিউট হয় জানি। তারা শেখ হাসিনা পর্যন্ত হাত দিয়ে দেখতে চায়। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন জবাব দেয়া হবে। আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন কারণ তিনি এদেশের ভবিষ্যৎ।
তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ঢাকায় কর্মসূচী থাকতে পারে। সেখানে ডাকলে যেতে হবে। এদিন জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সবাইকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আমরা জনসভা করতে চাই। সেই জনসভায় লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হবে।
সেটি দেখে যারা যারা দেশকে নিয়ে খেলতে চায়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খেলতে চায়, শেখ হাসিনাকে নিয়ে খেলতে চায় তারা যেন আঁতকে উঠে। এ নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সভা করে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ও আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মতিন প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি প্রমুখ।